নজরে ভোট

"আমি বিজেপিতেই আছি,হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়ার অর্থ দল ছাড়া নয়"- সাফ জানালেন সৌমিত্র ।

আমি বিজেপিতেই আছি,হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়ার অর্থ দল ছাড়া নয়- সাফ জানালেন সৌমিত্র ।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এদিন সকাল থেকেই বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিষ্ণুপুর বিজেপির মিডিয়া সেলের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হয়ে যাওয়া নিয়ে বাংলা মিডিয়া জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। এবার বেসুরো সৌমিত্র খাঁয়ের ফের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জল্পনাও চলতে থাকে। এই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েন সৌমিত্র জায়া সুজাতাও! তিনি ফের স্বামীকে পুরানো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার আহ্বান জানান।


তিনি বলেন নোংরা, আবর্জনায় ভরা বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। এর ফলে রাজ্য রাজনীতিতেও সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে ডান,বাম সব মহলেই চর্চা শুরু হয়ে যায় পুরোদমে। ঘটনার সুত্রপাত এদিন সকাল ৮ টা বেজে ৩৩ মিনিট নাগাদ। ঠিক এই সময় বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি সুজিত আগস্তি মিডিয়া শাখার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আজ বিষ্ণুপুরের দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভা সংক্রান্ত একটি সূচনা বার্তা পোস্ট করেন।এর পরই এই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান সৌমিত্র খান। তা নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক।

সুজিত আগস্তি জানান, আজকের বিকেলের এই সভার কথা তিনি সৌমিত্র বাবুকে মোবাইল ফোন করে জানিয়েওছেন। তার পর এই লেফটের ঘটনা ঘটা নিয়ে তিনিও কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে, সৌমিত্র বাবু জানান, যেহেতু রাজ্য জুড়ে কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং রাজ্যে লকডাউন চলছে তাই তিনি ব্যক্তিগত ভাবে সভা,সমিতি, মিটিং,মিছিলের বিরোধী। এখন সভা স্থগিত রাখা উচিত বলেই তার ব্যক্তিগত অভিমত। এই জন্যই তিনি আজকের দিলীপ ঘোষের সভায় উপস্থিত থাকছেন না। এর পিছনে অন্য কারণ খোঁজা বৃথা। তবে, তার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার সাথে মিডিয়ার একাংশ বিজেপি ছাড়ার যোগসুত্র যে ভাবে জুড়ে দিচ্ছেন! তা একেবারে ভিত্তিহীন এবং এর কোন সম্ভাবনা নাই।


তার সাফ জবাব, বিজেপির এমন শয়ে,শয়ে গ্রুপ আছে। কোন একটা গ্রুপ থেকে বের হওয়ার অর্থ বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসা, এমনটা নয়।সৌমিত্র খাঁ বিজেপিতেই আছে এবং বিজেপিতেই থাকবে। কার্যত, এই মন্তব্য করে যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন তিনি নিজেই।

এদিকে, আজকের দিলীপ ঘোষের বিষ্ণুপুরের সভায় সৌমিত্র'র হাজির না থাকার সিদ্ধান্ত কে ঘিরে বিজেপির অন্দরেও চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের অনেকেই মনে করছেন ফের দিলীপ ঘোষ ও সৌমিত্র খাঁয়ের দ্বৈরথ শুরু হয়ে গেল৷ গত বছর মহা সপ্তমীর দিন থেকে রাজ্যের যুব মোর্চার কমিটি ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে দিলীপ ঘোষের সাথে দ্বন্দ্ব শুরু হয় সৌমিত্রের। তার পর আবার দুজনের মধ্যে সন্ধিও হয়। বিধানসভা ভোটের আগে দিলীপ ঘোষের প্রতি সব অভিমান ভুলে সৌমিত্র বলে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ভোটের পর আবার দিলীপ ঘোষের থেকে দূরত্ব বাড়াতেই আজ তার লোকসভা কেন্দ্র বিষ্ণুপুরে দিলীপ বাবুর সভায় গর হাজির থাকার কৌশল নিয়েছেন বিজেপির যুব নেতা সৌমিত্র খান?


এমনটাই মনে করছেন দলেরই কর্মী, সমর্থক থেকে নেতা,নেত্রীরা। আর রাজ্যের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দিলীপ বাবুর সমান্তরাল সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে বঙ্গ বিজেপিতে নিজের ক্ষমতা বাড়াতে এবার উঠে,পড়ে ময়দানে নামছেন সৌমিত্র খাঁ। আর তারই ওয়ার্ম সারতে এই সভায় গর হাজিরা ও হোয়াটসঅ্যাপ থেকে লেফটের কান্ড ঘটালেন এই বিতর্কিত বিজেপি সাংসদ।



Next Story