শারদোৎসব

মহা সপ্তমীর সকাল থেকেই নবপত্রিকা স্নান শুরু,গন্ধেশ্বরী নদী ঘাটে জন জোয়ার।

নবপত্রিকা অর্থাৎ কলা বউ স্নানের মধ্য দিয়ে মহা পুজোর সূচনা। এই নবপত্রিকা আসলে নয়টি গাছের সমাহার। নবপত্রিকায় রয়েছে নটি উপাদান।দেবী পুরাণ মতে,এগুলি হল কলা গাছ,কচু গাছ, হলুদ গাছ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম ও অশোকের ডাল, মান কচু এবং ধান গাছ।

মহা সপ্তমীর সকাল থেকেই নবপত্রিকা স্নান শুরু,গন্ধেশ্বরী নদী ঘাটে জন জোয়ার।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : আজ মহা সপ্তমী।সকাল থেকেই নবপত্রিকা স্নান পর্বের শুরু। ষষ্ঠীর বোধনের পর সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকা অর্থাৎ কলা বউ স্নানের মধ্যদিয়ে মহা পুজোর সূচনা। এই নবপত্রিকা আসলে নয়টি গাছের সমাহার। নবপত্রিকায় রয়েছে নটি উপাদান।দেবী পুরাণ মতে,এগুলি হল কলা গাছ,কচু গাছ, হলুদ গাছ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম ও অশোকের ডাল, মান কচু এবং ধান গাছ।এবং এই নটি গাছ আসলে দেবীর নয়টি রূপকে প্রকাশ করে।কলা গাছে অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন ব্রহ্মাণী। কচুতে দেবী কালিকার অধিষ্ঠান।পুরাণ মতে, হলুদ গাছে অধিষ্ঠান দেবী দুর্গার।

জয়ন্তীতে রয়েছেন দেবী কার্তিকী। এবং বেলে রয়েছেন দেবী শিবা, ডালিমে রক্তদন্তিকা, অশোকে শোকরহিতা, মান কচু দেবী চামুণ্ডারর প্রতীক। এবং ধান গাছে দেবী লক্ষ্মীর অধিষ্ঠান।মহা সপ্তমীর ভোরে দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে নবপত্রিকার নটি গাছকে শ্বেত অপরাজিতার লতা ও ন গাছা হলুদ সুতোয় বেঁধে স্নান করানোর রীতি রয়েছে।যা নবপত্রিকা স্নান বা কলা বৌ স্নান নামে পরিচিত। এদিন শহরের গন্ধেশ্বরী নদীঘাট কার্যত জন জোয়ারে ভেসে যায়। ভোর থেকে কলা বউ স্নান দেখতে ভীড় করেন অগনিত মানুষ। শহরের পুজো মন্ডপ গুলি শোভাযাত্রা করে নব পত্রিকা স্নানে সামিল হয়।


ঢাকের বাদ্যি আর উলু ধ্বনি,শঙ্খ ধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবীর আবাহন সুচনা করল মহাপুজোর। এদিন জেলা প্রশাসনের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশের পাশাপাশি,মোতায়েন করা হয় সিভিল ডিফেন্স টিম। এদিন,মহিলা ঢাকির দল নজর কাড়ে সবার। সবে মিলে পুজো শুরুর প্রথম দিনই জমজমাট। বাঁকুড়া ২৪X৭ পরিবারের পক্ষ থেকে সকলকে মহা সপ্তমীর শুভেচ্ছা।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇



Next Story