মেজিয়া-বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল

বড়জোড়ায় কয়লা খাদানের পরিত্যক্ত অঞ্চলে কয়লা কাটতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু,এলাকায় চাঞ্চল্য।

স্থানীয় ঘুটগেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গনেশ মন্ডল বলেন,পুলিশ, প্রশাসন বাধা দিলেও তা অমান্য করে,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভাবের তাড়নাই কয়লা কাটার কাজ করেন এক শ্রেণির মানুষ।তার ফলেই এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও আকছার ঘটছে।

বড়জোড়ায় কয়লা খাদানের পরিত্যক্ত অঞ্চলে কয়লা কাটতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু,এলাকায় চাঞ্চল্য।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : বড়জোড়ার নর্থ ব্লক কোলিয়ারির পরিত্যক্ত কয়লা খাদানে অবৈধ ভাবে কয়লা কাটার সময় ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির৷ মৃতের নাম কার্তিক বাউরী (৩৬)। তিনি মালিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা। আর পাঁচটা দিনের মতো কার্তিক বড়জোড়ার বাগুলি এলাকায় কয়লা কাটতে গিয়েছিল।আচমকা খাদানে ধসের ফলে তিনি মাটিতে চাপা পড়ে যান।স্থানীয় ঘটনা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন।কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা পড়েন।প্রসঙ্গত, বড়জোড়ার বাগুলি এলাকায় খোলামুখ কলিয়ারির কয়লা উত্তোলনের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য সরকারের পাওয়ার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড।

এই বিস্তীর্ণ খোলামুখ কয়লা খনির যে সব অংশে কয়লা উত্তোলনের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে পরিত্যক্ত অবস্থায় খাদানের আকার নিয়েছে,সেই সব অংশে স্থানীয় মানুষজন অবৈধ ভাবে কয়লা উত্তোলনের কাজ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।অভিযোগ,পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি জানা স্বত্বেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই অবৈধ ভাবে কয়লা কেটে রুজিরোজগার চালানোর প্রবণতা দিন,দিন বেড়ে গিয়েছে। যার ফলেই প্রায় এমন খনি ধসে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। স্থানীয় ঘুটগেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গনেশ মন্ডল বলেন,পুলিশ, প্রশাসন বাধা দিলেও তা অমান্য করে,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভাবের তাড়নাই কয়লা কাটার কাজ করেন এক শ্রেণির মানুষ।

আর তার ফলেই এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও আকছার ঘটছে।এদিকে,স্থানীয় সুত্রে খবর এই অবৈধ কয়লা কাটার সাথে রয়েছে কয়লা মাফিয়া সিন্ডিকেটের যোগসাজশ।তার ফলেই এই অবৈধ কয়লা কাটা ঠেকাতে খুব একটা সক্রিয় নয় পুলিশ প্রশাসন।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇


Next Story