জঙ্গলমহল খাতড়া

কন্যাসন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে স্বামীর গঞ্জনা,ঘুমন্ত শিশু কে বালতীতে ভরে এনে নদীতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ গৃহবধূর বিরুদ্ধে।

কন্যাসন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে স্বামীর গঞ্জনা,ঘুমন্ত শিশু কে বালতীতে ভরে এনে নদীতে  চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ গৃহবধূর বিরুদ্ধে।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন: রহস্যজনক ভাবে, শীলাবতী নদীর জলে এক বছরের শিশুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করে ফেলল পুলিশ। শিশু খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হল শিশুটির মা ও বাবাকে। শিশু কন্যাটি অবৈধ সন্তান এমন অভিযোগ তুলে, শিশুর মায়ের ওপর শিশুর বাবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শিচশুটিকে মেরে ফেলে তার মা।

গত ২৫ আগস্ট সিমলাপালে সাত সকালেই মাছ ধরতে গিয়ে শীলাবতীর নদীতে জলের মধ্যে- জেলেদের "নজরে"- পড়ে এক বছর খানেকের শিশুকন্যা রয়েছে। সাথে সাথে,উদ্ধার করে সিমলাপাল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশুটিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

এই এক রত্তি শিশুটি বাড়ী থেকে কী করে শীলাবতীতে এল তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়! মৃত্যুর কারণ নিয়েও ওঠে প্রশ্ন? জলে ডুবে গিয়ে মৃত্যু? না খুন? এনিয়ে চলে টানাপোড়েন!

কী ভাবে এই শিশুটি নদীতে এল?কার সাথে এল? এমন প্রশ্নের উত্তর পেতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে পুলিশ।শেষে পুলিশের জেরায় ঙেঙ্গে পড়ে,মৃত শিশু কন্যা তানিষ্কা ওরফে প্রিয়ার মা তাপসী দেবী খুনের কথা কবুল করেন। খুনের দায়ে মা তাপসীকে এবং খুনে প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে শিশুর বাবা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় কে আজ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার তাদের খাতড়া মহকুমা কোর্টে তোলা হবে।

পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন,ঘটনার আগের রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া এবং তার পরদিন কাক ভোরেই শিশুটির মায়ের ময়লা,ফেলার নাম করে, বড়ো বালতী নিয়ে নদীতে যাওয়া, এবং পরক্ষণেই শিশু নিখোঁজের ঘটনা ও তারপর নদীতে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার -এসবই যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে পড়শীরা দাবী করেছিলেন সেই সুত্র ধরে,শিশুটির মাকে জেরা করে, পুলিশ এই মৃত্যুর ঘটনার কিনারা করে ফেলে। তাপসী দেবী স্বীকার করেন ঘুমন্ত শিশুকে বড়ো বালতীতে ভরে নদীর জলে চুবিয়ে তিনি শিশুটিকে মেরে ফেলেছেন।

Next Story