নজরে ভোট

শহরে বাজল ভোটের দামামা,কর্মী সম্মেলন করে বিধানসভা ভোটের ময়দানে নামলেন শম্পা দরিপা।

বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এবার জেলায় ভোটের ময়দানে নেমে পড়লেন বাঁকুড়ার বিধায়ক শম্পা দরিপা। কর্মী সম্মেলন করে ভোটের লড়াইয়ের পাঠও দিলেন দলীয় কর্মীদের।

শহরে বাজল ভোটের দামামা,কর্মী সম্মেলন করে বিধানসভা ভোটের ময়দানে নামলেন শম্পা দরিপা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কার্যত ভোটের ময়দানে নেমে পড়লেন বাঁকুড়ার বিধায়ক শম্পা দরিপা। শনিবার বিকেলে শহরের বঙ্গ বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে তার বিধানসভা ক্ষেত্রের কর্মীদের ভোটে লড়াইয়ের পাঠও দিলেন তিনি।

একেবারে বুথ স্তরের কর্মী থেকে ওয়ার্ড সব জায়গায় তিনি কর্মীদের এখন থেকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। তার তিনি বলেন, তৃতীয় বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসানোর লক্ষ্য নিয়ে সারা রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই কর্মী সম্মেলন হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে বাঁকুড়া বিধানসভা ক্ষেত্রের জন্যও কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ভোট প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।


প্রসঙ্গত, জেলার রাজনীতিতে শম্পা দরিপা ভোট কুশলী হিসেবেই পরিচিত। পুর প্রধান হিসেবে বাঁকুড়া শহরে বেশ কিছু ইতিবাচক কাজ তাকে কাজের মানুষ হিসেবে শহরবাসীর কাছে ইমেজ গড়ে তুলেছে। গত বিধানসভায় তিনি তৃণমূল ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতীকে বাম- কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে বিধায়ক নির্বাচিত হন। সেবার প্রতিপক্ষ ছিল তৃণমূল। এবার অবশ্য তিনি তৃণমুল প্রার্থী হয়েই ভোটের ময়দানে নামবেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও শহর জুড়ে পরিচিতি বিরোধী প্রার্থীদের থেকে কয়েক কদম এগিয়ে রাখবে। তবুও বাঁকুড়া বিধানসভায় গত লোকসভার ফলাফলের নিরিখে তৃণমূলর লড়াই খানিক কঠিন করে তুলেছে।


তাই বিরোধী শিবির ভোটের ময়দানে নামার আগেই নিজের সৈনিক তথা কর্মীদের ময়দানে নামিয়ে লাভ ওঠানোর কাজ শুরু করে দিলেন শম্পা দেবী।

বাঁকুড়া বিধানসভায় এবার ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা। বাম- কংগ্রেস জোট হচ্ছে ধরে নিলে এই জোটপ্রার্থীই কিং মেকারের ভুমিকা নেবে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। কারণ গত লোকসভায় বামেদের একটা বিরাট ভোট ব্যাঙ্ক চলে গিয়েছিল বিজেপির দিকে।যার ফলে বাঁকুড়া লোকসভায় সহজে জয় ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। বিধানসভা ভোটে সেই ভোটের কিছুটা যদি বামেরা ফের নিজেদের ঝুলিতে ফিরিয়ে আনতে পারে, সেক্ষেত্রে বিজেপি ভোট বেশ খানিকটা কমে যাবে। ফলে তার সুবিধা পাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী।আর সেক্ষত্রে এই আসন তৃণমূল সহজে দখল করতে পারবে।


কিন্তু এই অঙ্ক না মিললে বিজেপি লোকসভা ভোটের মতো শেষ হাসি হাসবে বিজেপি। পাশাপাশি,বামেরা যদি তাদের হারানো ভোট ব্যাঙ্ক ফিরিয়ে আনতে পারে তাহলে কিন্তু তারা প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে এই আসনে। এসবই নির্ভর করছে ভোট অঙ্কের যোগ- বিয়োগের ওপর।

এখন দেখার ভোট ফলাফলে ভোটাররা কোন পন্থা নেন। তার ওপরই নির্ভর করছে জয় -পরাজয়।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story