নজরে ভোট

জেলায় অরাজনৈতিক ঝটিকা সফরে এসে কার্যত নিজের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার জরিপ করলেন শুভেন্দু অধিকারী!

শুভেন্দু অধিকারী তার জনপ্রিয়তা ও অনুগামীদের সমর্থন কি পর্যায়ে আছে তা মেপে নিতেই এই জেলা সফর সারলেন। আর এই সফরে মানুষের জমায়েত থেকে তৃণমূলকেও তার জনপ্রিয়তার গ্রাফ যে উর্ধমুখী তাও জানান দেওয়া গেল সহজে। এভাবেই নিজের ইউএসপি বাড়িয়ে নিতে এই কৌশল নিয়েছেন তিনি এমনটাও মনে করা হচ্ছে।

জেলায় অরাজনৈতিক ঝটিকা সফরে এসে কার্যত নিজের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার জরিপ করলেন শুভেন্দু অধিকারী!
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী জনপ্রিয়তা নিয়ে কোন প্রশ্নই ওঠে না। এটা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি এর আগে তার জনপ্রিয়তার সাথে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তকমা। তাই শুধুমাত্র ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা এই রাঢ় বাংলা জুড়ে কতখানি তা এবার অরাজনৈতিক কর্মসুচীর মাধ্যমে মেপে নিতেই এই বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতিকেই হাতিয়ার করলেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ শুভেন্দু অধিকারী এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শুক্রবার সন্ধ্যেতে জেলায় এসে চারটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। ভারত সেবাশ্রম সংঘে ৮ হাজার পরিয়ায়ী শ্রমিকদের বস্ত্রদান কর্মসুচীর সুচনা করেন তিনি। এর পর শহরের কলেজ রোডে কালীপুজোর উদ্বোধন এবং রবীন্দ্র সরণির ইউনাইটেড ক্লাবের কালীপূজোর প্রস্তর মূর্তির স্থাপন ও পুয়াবাগান পঞ্চবটি কালীপুজোর উদ্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এই চারটি অনুষ্ঠান মঞ্চে কোথাও রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেননি তিনি।


বরং কোথাও চায়না টুনি লাইটের বদলে মাটির প্রদীপ ব্যবহার করার আবেদন রেখেছেন, তো কোথাও করোনা সতর্কতা বিধি মেনে চলার পাঠ দিয়েছেন তার অনুগামী দের।

এদিকে,পিকের চেষ্টাতেও বরফ গলেনি। শুভেন্দু বাবু জেলায় এসে কোথাও তৃণমূল দল বা নেত্রীর নাম মুখে পর্যন্ত আনেন নি। তাহলে কি তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পথে হাঁটছেন? না, নিজেই আলাদা রাজনৈতিক দল গড়বেন? এ নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে। তবে, রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শুভেন্দু বাবু তার জনপ্রিয়তা ও তার অনুগামীদের সমর্থন কি পর্যায়ে আছে তা মেপে নিতেই এই জেলা সফর সারলেন। আর এই সফরে মানুষের জমায়েত থেকে তৃণমূলকেও তার জনপ্রিয়তার গ্রাফ যে উর্ধমুখী তাও জানান দেওয়া গেল সহজে। এভাবে নিজের ইউএসপি বাড়িয়ে নিতেই এই কৌশল নিয়েছেন তিনি এমনটাও মনে করা হচ্ছে।

বাঁকুড়ায় শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। জেলায় ঢুকতেই ধলডাঙ্গায় তার গাড়ী থামিয়ে প্রচুর মানুষ স্বাগত জানান তাকে। ভারত সেবাশ্রমে বস্ত্রদান ও তিনটি কালীপুজোর উদ্বোধন মঞ্চেও বেশ কিছু তৃণমূল যুব নেতার উপস্থিতি নজরে পড়ে এদিন।


পাশাপাশি তৃণমুলের যুব ও ছাত্র সংগঠনের প্রচুর সক্রিয় কর্মী ও সমর্থক দাদার অনুগামী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। "আমরা কারা - দাদার অনুগামী " বলে আওয়াজ ও তোলেন তারা। গেঞ্জীতে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে লেখা ছিল দাদার অনুগামী।

এই "অনুগামী"- প্ল্যাটফর্ম কে অচিরেই রাজনৈতিক মোড়কে মুড়ে ফেলা হবে কিনা সেটাই বাংলার রাজনীতিতে এখন বড়ো প্রশ্ন? তার উত্তর মিলতে হয়তো আরও কটা দিন অপেক্ষা করতে হবে বাংলার জনতাকে।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story