কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হায়,হায় ধ্বনি,যুবক কে বেধড়ক মার,বিতর্কে বিজেপি,শুরু রাজনৈতিক চাপান উতর।

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : হাতে বিজেপির পতাকা,অথচ মুখে খোদ দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে গো ব্যক স্লোগান। দুর্লভপুর মোড়ে এমন কান্ড ঘটিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে বেদম মার খেলেন নিধিরামপুরের বাসিন্দা দীপক চক্রবর্তী। দুর্লভপুরে মিঠুন চক্রবর্তীর কর্মী বৈঠক থেকে ফেরার পথে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় বাঁকুড়া লোকসভার সাংসদ তথা দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে। দীপক মারের হাত থেকে বাঁচতে সুভাষ বাবুর পায়েও লুটিয়ে পড়েন।মন্ত্রী তখন দীপকের কাছে বারবার জানতে চান তাকে কে পাঠিয়েছে এই ঘটনা ঘটানোর জন্য।

এবং সাংবাদিকদের তিনি স্পষ্ট জানান এটা তৃণমূলের কাজ।মদ্যপ অবস্থায় এই যুবক এই কান্ড করে বসে।তবে এই যুবক বিজেপির কর্মী বা সমর্থক নন,এই ঘটনা তৃণমূলের চক্রান্ত বলে তিনি অভিযোগও তোলেন। এদিকে,যাকে নিয়ে জেলার রাজনিতী তোলপাড় সেই দীপক বাবু অবশ্য নিজেকে বিজেপির কর্মী বলে দাবী করে জানান, এখন তৃণমূল, সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারীদের রমরমা বেড়েছে। তা সহ্য না করতে পেরে এভাবে প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন। তবে এই ঘটনার পর তিনি আর রাজনীতি করবেন না।রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিচ্ছেন তিনি।

অন্যদিকে,এলাকার তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় সুভাষ বাবুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন,শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী দলীয় পতাকা দিয়ে ওই যুবকে পেটানোর পাশাপাশি লাথি মারছেন তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এখন নিজের দোষ ঢাকতে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তুলছেন।কিন্তু মানুষ সব সত্যিটা জেনে গেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসে ইতি মধ্যে সোস্যল মিডিয়ার সুভাষ বাবু তার দলীয় কর্মীকে লাথি মারছেন বলে ভিডিও প্রচার শুরু করে দিয়েছে।যদিও সুভাষ বাবুর দাবী, ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় তার পা জড়িয়ে ক্ষমা চায়। সেই সময় তিনি পা ছাড়িয়ে নেন।সেই ভিডিও কে বিকৃত করে প্রচার করছে তৃণমূল।

এই ঘটনা জেলার রাজনৈতিক মহলেও জোর চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।প্রকৃত ঘটনা কি? তা নিয়ে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণও। কিন্তু সে সব ছাপিয়ে বড়ো অঙ্ক হল এই কান্ডের রাজনৈতিক ফায়দা শেষ পর্যন্ত কারা নিজেদের ঝুলিতে ভরতে পারে তৃণমূল না বিজেপি? সেটা পঞ্চায়েতের ভোট বাক্সেই টের পাওয়া যাবে। অতএব এখন কেবল অপেক্ষার পালা।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇