ব্রেকিং নিউজ

হাই মাদ্রাসায় রাজ্যের মেধা তালিকায় জেলার বাদুলাড়া সম্মিলনী হাই মাদ্রাসার তিন ছাত্র।

হাই মাদ্রাসায় রাজ্যের মেধা  তালিকায় জেলার বাদুলাড়া সম্মিলনী হাই মাদ্রাসার তিন ছাত্র।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : প্রকাশিত হল এবছরের হাই মাদ্রাসার ফল। রাজ্যে সেরা দশের তালিকায় বাঁকুড়ার একই স্কুলের তিন ছাত্র স্থান পেয়ে নজির গড়ল। জেলার বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের বাদুলাড়ার সম্মিলনী হাই মাদ্রাসার তিন ছাত্রের মধ্যে দু'জন যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় ও একজন সপ্তম স্থান অর্জন করেছে। এই রেজাল্ট উচ্ছ্বসিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছেলেদের সাফল্যে আনন্দের জোয়ার পরিবারেরও। যদিও এই সেরা দশে জায়গা করে নেওয়া তিন ছাত্রই ভিন জেলার বাসিন্দা। আল-আমিন মিশনে থেকে বাঁকুড়ার সম্মিলনী হাই মাদ্রাসা স্কুলে পড়াশোনা করে যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় হয়েছে আবু দাউদ পাখিরা ও মহম্মদ হাসমত আলি শাহ। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৭৫৭ (৯৪.৬৩%)। আবুর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নামালবাস গ্রামে।তার বাবা লোকমান পাখিরা রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। ৫ ভাইয়ের মধ্যে আবু সবার ছোট। দাদারা ক্লাস সিক্সের পর পড়ার পাঠ চুকিয়ে তারা দর্জি ও জরির কাজ করে সংসার চালায়। আবু বাঁকুড়ার সম্মিলনী হাই মাদ্রাসা স্কুলে পঞ্চম শ্রেনী থেকে পড়ছে। ।ক্লাসেও বরাবর ভালো রেজাল্ট করত সে। ইতিমধ্যেই উলুবেড়িয়ায় আল-আমিন মিশনে একাদশ শ্রেনীর পঠনপাঠন শুরু করে দিয়েছে বলেও জানায় আবু দাউদ। তার বাবা লোকমান পাখিরা বলেন, আবুর মামা ডাক্তার। তাই আবুও ডাক্তার হতে চায়।

মেধা তালিকা যুগ্ম দ্বিতীয় মহম্মদ হাসমত আলি শাহ পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের বাসিন্দা।তারো প্রাপ্ত নাম্বার ৭৫৭। পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে আল-আমিন মিশন থেকেই বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেনীর পড়া শুরু করেছে সে। তার বাবা মহম্মদ ইয়াসিন শাহ বীরভূম জেলার নানুর থানার পাপুড়ি গ্রামের মসজিদের ইমাম।তিনি চান ছেলে ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার যে লাইনেই ও যেতে চাইবে তাই পড়াবেন।

একই স্কুলের আর এক কৃতি ছাত্র সারতাজ আলি লস্কর ৭৪৯ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থান দখল করেছে। তার বাড়ি হাওড়া জেলার গোয়ালবাটিতে। দর্জির কাজ করে অভাবের সংসার টানেন বাবা নাজিম আলি লস্কর। তিনিও চান সারতাজ বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হোক।ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদনীপুরে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াও শুরু করে দিয়েছে এই কৃতি ছাত্র।

অন্যদিকে তিন ছাত্রের সাফল্যে গর্বিত সম্মিলনী হাই মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবীপ্রসাদ পাঞ্জা জানান,এই তিন ছাত্র বরাবর পড়াশোনা ভালো করত। তারা তিন জন এক সাথে মেধা তালিকায় জায়গা করে নজির গড়ল।ওদের এই সাফল্যে আমরা প্রত্যেকেই খুশি।প্রসঙ্গত, গতবারও রাজ্যে মেধা তালিকায় এই স্কুলের এক ছাত্র পঞ্চম স্থান অর্জন করেছিল। এবার সাফল্য গত বারের সাফল্য কে ছাপিয়ে গেল।

Next Story