নিজের সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে হাসপাতালের জানালা দিয়ে ছুঁড়ে মেরে ফেলার দায়ে সাত বছরের কাড়াদণ্ড মায়ের।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : নিজের সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে হাসপাতালের জানালা দিয়ে ছুঁড়ে মেরে ফেলার দায়ে সাত বছরের কাড়াদণ্ড হল এক গৃহবধূর। আজ বাঁকুড়া জেলা জজ অপূর্ব সিনহা রায় এই সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত গৃহবধূর নাম ঝুমা মন্ডল। গত বছর ২৪ শে মার্চ ঝুমা দেবী তার শ্বশুর বাড়ী গঙ্গাজলঘাটি থানার কুঁকড়াঝোড় গ্রামে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বাড়ীতেই শিশুটির জন্ম হওয়ার কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়। পরপর দুটি কন্যা জন্মানোর জন্য শ্বশুর বাড়ীতে ঝুমাকে গঞ্জনা শুনতে হয়। তার জেরেই শিশুটিকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসএনসিইউ ইউনিটের দোতলার জানালা থেকে নীচে ফেলে দেওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সরা ২৫ তারিখে টের পান যে ওয়ার্ডে একটি শিশু কম রয়েছে। তখন সন্দেহ বসত ঝুমা দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি, তার মেয়েকে জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলার কথা স্বীকার করেন। এর পর তার কথা মতো তল্লাসি চালালে নীচে নর্দমা থেকে শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠায়। হাসপাতাল কতৃপক্ষ ঝুমা দেবীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তিনি জেল হেপাজতেই ছিলেন। তার বর্তমানে একটি চার বছরের শিশু কন্যা রয়েছে। এই মামলায় ঝুমার স্বামী সহ ১৭ জনের সাক্ষী গ্রহনের পর আদালত আজ এই সাজা ঘোষণা করে।
#দেখুন 🎦 ভিডিও।👇[embed]