কালবৈশাখী আর শিলাবৃষ্টিতে জেলায় নষ্ট প্রায় ১৫ হাজার হেক্টরের ফসল,ক্ষতিগ্রস্ত ১৪৭২ টি বাড়ী। ত্রাণ পৌঁছে দিল প্রশাসন।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : করোনা আবহের মধ্যে কালবৈশাখীর ঝড় আর ব্যাপক শিলা বৃষ্টির জেরে জেলায় প্রচুর মাটির ঘর যেমন ভেঙ্গে পড়ল তেমনি ক্ষতি হল ধান,মরসুমি ফসল এবং শস্যেরও।
জেলা প্রশাসনের হিসেবে মতো জেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ২৯৬ টি বাড়ী সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১,১৭৬ টি বাড়ী। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রিপল সহ প্রাথমিক ত্রাণ সামগ্রী পোঁছে দিয়েছে প্রশাসন।
জেলার সবচেয়ে বেশী শিলাবৃষ্টির দাপট ছিল ছাতনা,বড়জোড়া,সোনামুখী,সারেঙ্গা,শালতোড়া, গঙ্গাজলঘাটি এলাকায় বলে দাবী করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
জেলা আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল ৪২.০৪ মিলিমিটার।
অন্যদিকে, গত ১৭ এবং ২০ এপ্রিল এই দুদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে জেলা কৃষি দপ্তরে এখনও পর্যন্ত যা ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এসে পোঁছেচে তার নিরিখে,জেলায় বোরোধানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। তিল নষ্ট হয়েছে ২৭০০ হেক্টর জমিতে। ২১০ হেক্টর জমির তরমুজ নষ্ট হয়েছে শিলাবৃষ্টির জেরে। আর প্রায় ৮৭০ হেক্টর জমিতে মরসুমী সবজির ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার উপকৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র।
এছাড়া সারেঙ্গায় কালবৈশাখীর ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ায় সেখানে বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছে।
জেলায় গ্রাম থেকে সদর শহর সর্বত্রই কমবেশী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির খবর মিলেছে।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]









