জেলাশাসকের নাম ভাঙ্গিয়ে শৌচাগার তৈরীতে কারচুপির অভিযোগ! প্রশাসনিক বৈঠকে কোপে পড়লেন বিডিও।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এবার নির্মল বাংলার শৌচাগার তৈরীর কাজে জেলাশাসকের নাম ভাঙ্গিয়ে কারচুপি করার অভিযোগ কে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক বৈঠকে কোপের মুখে পড়লেন রাইপুরের বিডিও সঞ্জীব দাস। এখানকার পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন যে শৌচাগার তৈরীতে জেলাশাসকের নাম ভাঙ্গিয়ে কাজের বরাত পাওয়া এজেন্সী কাজের মাপ ও গুনমানে কারচুপি করছে। উপভোক্তারা চেপে ধরলে,তারা "জেলাশাসক এভাবেই কাজ করতে বলেছেন"- এমন দোহাই দিয়ে পার পেতে চাইছেন। অনেকে আবার এই ঘটনার জন্য খোদ বিডিওকে কাঠ গোড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। এই অভিযোগ করা মাত্র প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা শাসক উমা শঙ্কর এস বিডিওর কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে, ব্লকের নির্দেশই তিনটে করে ছটা পাট দিয়ে শৌচাগার তৈরী করছে এজেন্সী বলে কার্যত স্বীকার করে নেন রাইপুরের বিডিও সঞ্জীব দাস। জেলাশাসক এর পরই ক্ষুব্ধ হয়ে জানান ব্লক নিজেরা দোষ করে কেন ডিএমের নামে তা চাপানোর চেষ্টা করছেন। সাথে, সাথে এই ঘটনায় ডিএমের নাম জড়ানো যে ঠিক হয়নি,তা জানিয়ে,বিডিও কে একহাত নেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ও জিলা পরিষদের মেন্টর অরুপ চক্রবর্তী।
পাশাপাশি,শৌচাগার তৈরীর জন্য উপভোক্তাদের কাছে ৯০০ টাকা করে তোলা হলেও তার কোনো হিসেব নেই। টাকা কী ভাবে,ভকারা গায়েব করেছে তা জানাতে, রাইপুরের বিডিও নিজেও যে অপারগ তা বৃহস্পতিবার শহরের রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে স্বীকারও করে নেন।
জেলাশাসক উমা শঙ্কর এস এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের জানান, শৌচাগার তৈরীর কাজে কোন কারচুপি ধরা পড়লে বরাত পাওয়া এজেন্সীর পেমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়া, উপভোক্তারা শংসাপত্র দিলে তবেই এজেন্সী কে টাকা মেটানো হবে, তার নির্দেশ বিডিও কে দেওয়া হয়েছে। আর, উপভোক্তাদের কাছে তোলা টাকা কেও আত্মসাৎ করলে বা কেও শৌচাগার তৈরীর নামে অবৈধ ভাবে টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে এফ আই আর করারও নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
#দেখুন 🎦 ভিডিও।👇[embed]