শারদোৎসব

নির্জনতাই পছন্দ রতনপুরের দেবী অম্বিকার,মাইক বাজালেই ঘটে বিপত্তি,শুধু ঢাকের বাদ্যিতেই চলে পুজো।

রতনপুরের মা অম্বিকাদেবী কোলাহল একেবারেই পছন্দ করেন না।তাই গ্রামের লোকালয় ছাড়িয়ে একপ্রান্তে ফাঁকা মাঠের মধ্যে দেবী মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। পুজোয় চলেনা না মাইক বাজানো। মাইক বাজালেই ঘটে অঘটন। তাই শুধু ঢাকের বাদ্যিতেই চলে দেবী অম্বিকার আবাহন।

নির্জনতাই পছন্দ রতনপুরের দেবী অম্বিকার,মাইক বাজালেই ঘটে বিপত্তি,শুধু ঢাকের বাদ্যিতেই চলে পুজো।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জেলার দুই অম্বিকা দেবীর অন্যতম রতনপুরের ঘটক পরিবারের কুল দেবী অম্বিকা। সিংহবাহিনী চতুর্ভুজা পাষাণ মুর্তির এই দেবীর পুজো বিষ্ণুপুর মল্লরাজাদের আনুকূল্য প্রতিষ্ঠিত। বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ পরিবারের দেবী মৃন্ময়ীর শারদীয় পুজোর মতো ঘটক পরিবারের এই পুজোরও সূচনা হয় নবম্যাদি কল্পে।

এই দেবী শান্তিপ্রিয়।কোলাহল একেবারেই অপছন্দ দেবী অম্বিকার।তাই তিনি নির্জনতার দেবী হিসেবেই পরিচিত গ্রাম জুড়ে। তাই গ্রামের লোকালয়ের থেকে দুরে ফাঁকা মাঠের মধ্যে দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠিত। একবার গ্রামের মধ্যে মন্দির স্থানান্তরের চেষ্টা হলেও দেবীর স্বপ্নাদেশে তা স্থগিত রাখেন গ্রামবাসীরা। মাইকের শব্দ দূষণও না পছন্দ এই দেবীর। তাই পুজোয় মাইক বাজানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ। একবার মাইক বাজানোয় ঘটে অঘটন।


সেই থেকে কেও আর মাইক বাজানোর সাহস দেখাননি। কেবল ঢাকের বাদ্যিতে চলে দেবীর আরাধনা। পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। এমন কি মা অম্বিকা রতনপুর গ্রামে বিরাজমান বলে এই গ্রামে কোন দুর্গাপূজোর প্রচলনও নিষিদ্ধ। তা আজও মেনে চলেছেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের ঘটক পরিবার মা অম্বিকার সেবাইত। নিষ্ঠার সাথে পরম্পরা মেনে চলে আসছে জেলার এই সুপ্রাচীন পুজো।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story