শহরের তুলনায় জঙ্গলমহলে বেশী দাপট বনধ সমর্থনকারীদের। তবে, সারা জেলার ছন্দ এদিনও ছিল স্বাভাবিক।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দু'দিনের বনধের প্রথম দিনে, জেলার জীবন যাত্রায় কোনো হেরফের নজরে পড়েনি।হাতে গোনা কটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটের ওপর বনধ শান্তিপূর্ণই চলছে।
জেলার সদর শহরে বামেদের তথা সিপিএমের সক্রিয়তায় ঘাটতি থাকলেও,বনধের প্রথম দিনে কিন্তু তুলনামূলক ভাবে জেলার জঙ্গল মহলে দাপট দেখায় বনধ সমর্থনকারীরা। এদিন সিমলাপালে রীতিমতো বাইক মিছিল করে লালঝান্ডা নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় কমরেড বাহিনী।
সকালে রাইপুরেও প্রাক্তন সভাধিপতি পার্থ প্রতিম মজুমদারের নেতৃত্বে পথ অবরোধ করা হয় বেশ খানিকক্ষণ। পুলিশ বনধ হটাতে এলে, পুলিশের সাথে একপ্রস্ত বাক্ বিতণ্ডা হয়।
পুলিশ পার্থ বাবু সহ ৫ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
অন্যদিকে, বড়জোড়াতেও বনধ সমর্থনকারীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেঁধে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়।সিপিএম নেতা সুজয় চক্রবর্তীর জামা ছিঁড়ে পুলিশ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বেলিয়াতোড়েও সকালে সরকারি বাস চলাচল ঠেকাতে পতাকা নিয়ে রাস্তায় নামে সিপিএম।
বাঁকুড়া শহরের কলেজ রোডে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কে এক বনধ সমর্থনকারী কে মারধর করার অভিযোগও তুলেছে সিপিএম।
জেলার মেজিয়া ও বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলে বনধের প্রভাব পড়েনি।শ্রমিক হজিরা ছিল প্রায় স্বাভাবিক।
সদর শহর সহ জেলার তিন মহকুমা জুড়ে স্কুল,কলেজ,অফিস, আদালত, ব্যাঙ্ক ছিল খোলা। এদিন জেলা শাসকের অফিসে কর্মীদের উপস্থিতির হার ঢ়িল ৯৮.৪৭% এবং পুরো জেলা জুড়ে হার ৯৯%ছাড়িয়ে গেছে। জেলা শাসক ডাঃউমাশঙ্কর এস বলেন, জেলায় সব অফিসেই এদিন উপস্থিতির হার যেমন স্বাভাবিক ছিল,তেমনি কাজকর্মও স্বাভাবিক ছন্দেই হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলার পরিবহন ব্যবস্থায় খানিকটা বনধের প্রভাব পড়ে বলে বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন।জানা গেছে, বেসরকারী বাসের প্রায় ৭০% রাস্তায় না নামার ফলে, সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের।
অন্যদিনের তুলনায় বেশী সংখ্যায় সরকারী বাস পথে নামলেও তা চাহিদার তুলনায় কম হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যায় পড়েন আম জনতা।
তবে, বনধের দ্বিতীয় দিনে আরও বেশী সংখ্যায় বাস পথে নামাতে উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন বলে জানা গেছে।
জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও জানিয়েছেন, জেলায় বনধ ঘিরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।বনধ ছিল শান্তিপূর্ণ। কোথাও কোনো গ্রেপ্তারের খবরও নেই।জেলার জীবন যাত্রা পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল।
#দেখুন ভিডিও।[embed]