শহর বাঁকুড়া

ফের নজরকাড়া সাফল্য বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের,মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় ৫ পড়ুয়া,আসুন পরিচয় করা যাক এই পঞ্চরত্নের সাথে।

বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তপনকুমার পতি বলেন এবার মাধ্যমিকে স্কুলের ৫ জন মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তবে এবছরই প্রথম নয়, এই স্কুলের একটা ধারাবাহিকতা রয়েছে। আমাদের স্কুলের সামগ্রিক রেজাল্টও খুব ভালো। মাধ্যমিকে এবছর ২২০ জন পরীক্ষা দিয়েছিল, তাদের গড় প্রাপ্ত নম্বর ৮৩ শতাংশ।

ফের নজরকাড়া সাফল্য বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের,মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় ৫ পড়ুয়া,আসুন পরিচয় করা যাক এই পঞ্চরত্নের সাথে।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : মাধ্যমিকে রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করেছে ৫ কৃতি।বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনের এই পাঁচ পড়ুয়া ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে রয়েছে।ষষ্ঠ স্থান দখল করেছে জ্যোতি প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০ । সপ্তম স্থানে অরিত্র দে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।অষ্টম স্থান অর্জন করেছে শুভ্র সিনহা মহাপাত্র সে পেয়েছে ৬৮৮ নাম্বার।দশম স্থান অর্জন করেছে বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের দু’জন ছাত্র প্রিয়ম পাল ও তুহিন হালদার। এই দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। একই স্কুল থেকে পাঁচ ছাত্রের মেধা তালিকায় জায়গা করে নেওয়ায় খুশীর হাওয়া স্কুল জুড়ে। আসুন বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনের এই পঞ্চরত্নদের সাথে পরিচয় করা যাক।জেনে নেওয়া যাক তাদের এই সাফল্যের নেপথ্য কাহিনী আর তাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা।

জ্যোতি প্রকাশ চট্টোপাধ্যায় ৬৯০ নাম্বার পেয়ে মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে। বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহির বাসিন্দা জ্যোতিপ্রকাশের ইচ্ছে বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া।এই স্কুলের অরিত্র দে ৬৮৯ নাম্বার পেয়ে মেধাতালিকায় সপ্তম হয়েছে। সে শহরের নুতনচটি এলাকায় একটি আবাসনে থাকে। অরিত্র দারুণ পিয়ানো বাজায়। তার ইচ্ছে বড়ো হয়ে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। রোজকার পড়া রোজ সেরে এবং টেক্সট বই খুঁটিয়ে পড়েই তার এই সফলতা বলে জানিয়েছে অরিত্র। এই স্কুলের আর এক ছাত্র শুভ্র সিনহা মহাপাত্র ৬৮৮ নাম্বার পেয়ে অষ্টম স্থান অর্জন করেছে। শুভ্রর আসল বাড়ি খাতড়াতে হলেও পড়াশোনার জন্য বর্তমানে বাঁকুড়াতেই থাকে সে।পড়াশোনার পাশাপাশি সে ছোট থেকে গানের চর্চাও করে। বড়ো হয়ে শুভ্রর ইচ্ছে পদার্থ বিদ্যা নিয়ে গবেষণা করা।

রাজ্যের মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় দশম স্থানে রয়েছে এই স্কুলের দুই ছাত্র। তাদের প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৬। তুহিন হালদার কোন টিউশন না নিয়ে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেই মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। জেলার জঙ্গলমহল সারেঙ্গার বাসিন্দা তুহিনের মা ও বাবা দুজনই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তুহিন বড়ো হয়ে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়। তার এই সাফল্যের নেপথ্যে স্কুলের শিক্ষকদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছে সে। বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনের আর এক কৃতি ছাত্র প্রিয়ম পাল।সেও ৬৮৬ নাম্বার পেয়ে দশম স্থান অর্জন করেছে। জেলার জঙ্গলমহলের সিমলাপালের পুখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়ম। তবে পড়াশোনার জন্য বর্তমানে বাঁকুড়া থাকে। মুলত টেক্সট বই খুঁটিয়ে পড়েই সে সাফল্য পেয়েছে। ক্রিকেট খেলতে সে ভালোবাসে।

তার প্রিয় ক্রিকেটার এম এস ধনি। বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছে আছে প্রিয়মের। এদিকে, বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তপনকুমার পতি বলেন এবার মাধ্যমিকে স্কুলের ৫ জন মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তবে এবছরই প্রথম নয়, এই স্কুলের একটা ধারাবাহিকতা রয়েছে। আমাদের স্কুলের সামগ্রিক রেজাল্টও খুব ভালো। মাধ্যমিকে এবছর ২২০ জন পরীক্ষা দিয়েছিল, তাদের গড় প্রাপ্ত নম্বর ৮৩ শতাংশ। যা স্কুলের সার্বিক সাফল্যকে তুলে ধরতে যথেষ্ট। এমনকি হোস্টেলে থেকে কোন টিউশন না পড়ে মেধা তালিকায় দশম হয়ে নজর কেড়েছে তুহিন হালদার। তবে,মাধ্যমিকে এবার তার স্কুলের পড়ুয়াদের ইংরেজি খাতার মূল্যায়ন নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেছে তপন বাবুর গলায়। তিনি ইংরাজি খাতার সার্টিফাইড কপি এনে যাচাই করবেন বলেও জানান।

বাঁকুড়া বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাই স্কুলের এই পঞ্চরত্নকে বাঁকুড়া ২৪x৭ পরিবারের পক্ষ থেকে রইল অনেক, অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇


Next Story