শহর বাঁকুড়া

জুনবেদিয়ার জোড়ের জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে দুয়ারে প্রশাসন,শহরে আন্ডার গ্রাউন্ড নিকাশি নালার পরিকল্পনা।

জুনবেদিয়ার জোড়ের জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে দুয়ারে প্রশাসন,শহরে  আন্ডার গ্রাউন্ড নিকাশি নালার পরিকল্পনা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এবছরের বর্ষার শুরুতেই জল যন্ত্রণা উসকে দিয়েছিল ২০১৮ সালের ৬ আগষ্টের স্মৃতি! বাঁকুড়া শহর লাগোয়া জুনবেদিয়া মোড়ের জোড়ের জলের আস্ফালনে আসপাশের পাড়া গুলিও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জলের তোড়ে বেসামাল হয়ে পড়ে এই সব এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা। জোড়ের উপচে পড়া জলে ভেসে যায় রামকৃষ্ণ পল্লী।


অভিযোগ ওঠে বেহাল নিকাশি আর জোড়ের জমি বেদখল হয়ে ক্রমশ সরু হয়ে পড়ার জেরেই এই ভোগান্তি। আজ এই ভোগান্তি থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে রামকৃষ্ণ পল্লীর বাসিন্দাদের দুয়ারে হাজির হন প্রশাসনিক কর্তারা। বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত, এবং বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দিলীপ আগরওয়াল এলাকা পরিদর্শনে যান।

সাথে ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও অফিসাররাও। জুনবেদিয়ার জোড়টির সংস্কার ও জবর দখল মুক্ত করে জোড়ের পুরানো কলেবর ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানান বাসিন্দারা। সেই দাবী মেনে এবার প্রশাসন এই খালের সংস্কারের পাশাপাশি সারা বাঁকুড়া শহর জুড়ে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনেজ সিস্টেম চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে।


সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত।প্রসঙ্গত গন্ধেশ্বরীর নাব্যতা বাড়ানোর প্রকল্পের সাথে এই জোড় সংস্কারও ধরাছিল বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু গ্রিন ট্রাইবুনালের গেরোয় সেই কাজ থমকে গিয়েছে বলে সুত্রের খবর। তার ফলে ভারী বৃষ্টি হলেই এই খাল উপচে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

এমনকি জল বাড়লেই এখানকার মানুষের মনে সেই ২৯১৮ সালের জোড়ের জলের তোড়ে বাড়ী ভেঙ্গে পড়ার বিভীষিকা জেগে উঠছে। তারা চান এবার অন্তত কিছু একটা করে দেখাক প্রশাসন। যেন ফি বছরের জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে এই এলাকার বাসিন্দাদের।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story