শহর বাঁকুড়া

এক টানা পড়ার পর একঘেয়েমি ঘোচাতে রবি ঠাকুরের গান,আবৃত্তি করেই রিফ্রেশ হতো মাধ্যমিকে দশম বাঁকুড়ার প্রত্যুষা।

এক টানা পড়ার পর একঘেয়েমি ঘোচাতে রবি ঠাকুরের গান,আবৃত্তি করেই রিফ্রেশ হতো মাধ্যমিকে দশম বাঁকুড়ার প্রত্যুষা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : যে কোন কাজ এক টানা করে গেলে একঘেয়েমি লাগাটা স্বাভাবিক। কিন্তু একঘেয়েমি কে বাই,বাই করে ফের কাজে মন না বসালে সাফল্য আসবে কি করে? এমনই উপলব্ধি থেকেই এক টানা পড়ার একঘেয়েমি কাটিয়ে তুলতে নিজেই রিফ্রেশ টনিক হিসেবে বেছে নেয় রবি ঠাকুরের গান ও আবৃত্তি। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধা তালিকায় রাজ্যে দশম এবং জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম প্রত্যুষা কুন্ডু নিজে রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে বা কবি গুরুর কোন আবৃত্তি করে তার পড়ার একঘেয়েমি কাটাত।আর এতেই মিলত বাড়তি এনার্জি।

কিছুক্ষণ পরেই ফের পড়তে বসত সে।আর এই রেমিডিতেই মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নাম্বার হয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৪। মেধা তালিকায় এভাবে প্রথম দশের মধ্যে স্থান করে নিতে পেরে বেজায় খুশী প্রত্যুষা। বড়ো হয়ে সে ডাক্তার হতে চায়।বাকুড়া শহরের মিশন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী প্রত্যুষা পড়া ও গান,আবৃত্তির পাশাপাশি খেলা ও সাঁতারেও পারদর্শী। তার বাবা বিভাস কুন্ডু বাঁকুড়া শহরের গোয়েঙ্কা বিদ্যায়তনের রসায়নের শিক্ষক।আর মা টিঙ্কু কুন্ডু প্রাথমিক শিক্ষিকা। ফলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাবা ও মায়ের কাছে সাহায্য পেয়েছে।তার ওপর স্কুল এবং টিউশনের টিচারদের সাপোর্ট সবে মিলে এই সাফল্য মিলেছে তার।

প্রত্যুষার মা সব সময় মেয়ের পড়াশোনা খুঁটি নাটি নজরে রাখতেন।বোন পূর্ণাশা ক্লাস ফাইভে পড়ে। নিজে পড়ার পাশাপাশি বোনকেও পড়ার টিপস দিত সে। তার কথায় যে কোন ক্লাসেরই পড়ুয়া হোক না কেন। তাকে পরীক্ষায় ভালো ফল করতে হলে পাঠ্য বই খুঁটিয়ে পড়তে হবে।তাহলেই সাফল্য মিলবে অনায়াসে।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story