বিশ্ব রক্তদাতা দিবসেই বিবাহ বার্ষিকী,তাই আখিল ভারতীয় মারোয়াড়ী যুবা মঞ্চের আয়োজিত শিবিরে রক্তদান করে নজির শর্মা দম্পতির।
বাঁকুড়া শহরের কুচকুচিয়ায় আয়োজিত অখিল ভারতীয় মারোয়াড়ী যুবা মঞ্চের এই রক্তদান শিবিরে মোট ৪৪ জন রক্তদান করেন৷ যাঁদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা যারা এদিন জীবনের প্রথম রক্ত দান করলেন।

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বিশ্ব রক্তদাতা দিবসেই বিবাহবার্ষিকীর উপহার স্বরূপ রক্তদান! বাঁকুড়ার শর্মা দম্পতি গড়লেন অনন্য নজির। ১৪ই জুন,বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে বাঁকুড়ায় আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে এক অন্যরকম মুহূর্তের সাক্ষী থাকল সবাই। আখিল ভারতীয় মারোয়াড়ী যুবা মঞ্চ আয়োজিত এই শিবিরে শর্মা দম্পতি তাঁদের বিবাহবার্ষিকীর দিন রক্তদান করে গড়লেন এক মানবিক দৃষ্টান্ত। এবার তাঁদের ৩১ তম বিবাহ বার্ষিকী। এই দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে নরেন্দ্র শর্মা ও মঞ্জু শর্মা দুজনে একসাথে রক্তদান করলেন।এবং তাঁরা এবার থেকে এই দিনটিতে প্রতি বছর রক্তদান করার অঙ্গিকার বদ্ধও হলেন।যেখানে অনেকেই বিবাহবার্ষিকী পালন করেন খাওয়াদাওয়া বা ভ্রমণের মাধ্যমে, সেখানে শর্মা দম্পতির এই সিদ্ধান্ত যে সমাজে অন্য বার্তা পৌঁছে দিল তা বলাই বাহুল্য।
তাঁরা জানান, "জীবনের আনন্দ যদি অন্যের জীবন রক্ষা করায় কাজে লাগে, তার চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু হতে পারে না।"এমন দৃষ্টান্ত শুধু অনুপ্রেরণা দেয় না, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায় আরও সচেতন ও মানবিকতার পথে।বাঁকুড়া শহরের কুচকুচিয়ায় আয়োজিত অখিল ভারতীয় মারোয়াড়ী যুবা মঞ্চের এই রক্তদান শিবিরে মোট ৪৪ জন রক্তদান করেন৷ যাঁদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা যারা এদিন জীবনের প্রথম রক্ত দান করলেন।এদিনের শিবিরে রক্তদাতাদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির সম্পাদক বিপ্রদাস মিদ্যা৷ তিনি,বলেন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৫ এর থিম: রক্ত দিন,আশা দিন,একসাথে আমরা জীবন বাঁচাই। এই উদ্দেশ্যেই মারোয়াড়ী যুবা মঞ্চের স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন।
প্রসঙ্গত,রক্তের গ্রুপ আবিষ্কারক কার্ল লান্ডষ্টাইনারের জন্ম ১৮৬৮ সালের ১৪ জুন। তাই তার জন্মদিনেই পালিত হয় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। রক্তের গ্রুপ 'এ, বি, ও,এবি' আবিষ্কারের জন্য ল্যান্ডস্টেইনারকে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়। ২০০৪ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে।এবছর ২০ তম বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।
👁️🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇