শহর বাঁকুড়া

চোরাই বাইক পাচার সিন্ডিকেটের ডেরাই হানা,উদ্ধার ২৪টি মোটর বাইক,করনজোড়া থেকে গ্রেপ্তার মূল পান্ডা।

চোরাই বাইক পাচার সিন্ডিকেটের ডেরাই হানা,উদ্ধার ২৪টি মোটর বাইক,করনজোড়া থেকে গ্রেপ্তার মূল পান্ডা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জেলার মেজিয়া থানায় চোরাই মোটর বাইক ও টোটো উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ধৃতদের জেরায় মেলা তথ্যকে কাজে লাগিয়ে এবার বাঁকুড়া সদর থানার করনজোড়া থেকে আরও এক মোটর বাইক পাচার চক্রের পান্ডা বিধান ঘোষকে গ্রেপ্তার করল। পাশাপাশি,বিধানের বিভিন্ন ডেরা থেকে ২৪ টি মোটর বাইকও উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রবিবার থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত বিধানের বাঁকুড়া,ছাতনা ও বেলিয়াতোড়ের ডেরায় হানা দিয়ে এই বিপুল সংখ্যক চোরাই মোটর বাইক উদ্ধার হয়। যার বেশীরভাগ পুরুলিয়া ও আসানসোল থেকে চুরি করা হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার আজ সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বছর ত্রিশের বিধান চুরির মোটর বাইক কম দামে কিনে নিজের ডেরায় মজুত করে রাখত।

এরপর, তা ভালো লাভ রেখে বিক্রি করত। দীর্ঘ দিন ধরে চোরাই বাইক কেনা - বেচার অবৈধ কারবার চালাচ্ছিল সে। এই প্রথম সে পুলিশের জালে ধরা পড়ল। মুলত মাস্টার কি দিয়ে বাইক চুরির পর সেই বাইক চলে আসত বিধানের ডেরায়। সেখান থেকে মোটর বাইক পাচার হত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এবার পাচারের আগেই অবশ্য পুলিশ সব বাইক উদ্ধার করে ফেলার পাশাপাশি বিধানকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনা বাঁকুড়া জেলার পার্শ্ববর্তী জেলার পুলিশ সুপার এবং সিআইডিকেও জানাচ্ছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। এবং বাইকের ইঞ্জিন নাম্বার,চেসিস নাম্বার দেখে মোটর বাইকের প্রকৃত মালিকদের চিহ্ণিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।

প্রসঙ্গত,জেলার মেজিয়া এবং তারপর বাঁকুড়া মিলিয়ে প্রায় ৫০ টির মতো চোরাই মোটর বাইক উদ্ধার করল জেলা পুলিশ। এবং এই দুই কেসের তদন্তে বাইক চোরদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি, পাচার সিন্ডিকেটের কিং পিনদেরও পুলিশ ধরে ফেলে। এখন দেখার এই দুই ঘটনার পর জেলায় ফের কোন নুতন চোরাই বাইক পাচারকারীদের ডেরার হদিশ মেলে কিনা?

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story