শহর বাঁকুড়া

গোঁজের গুরুত্ব নেই,গোঁজ প্রার্থীদের তৃণমূলে ফেরার দরজা বন্ধ,সাফ জানালেন বাঁকুড়া জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র।

গোঁজের গুরুত্ব নেই,গোঁজ প্রার্থীদের তৃণমূলে ফেরার দরজা বন্ধ,সাফ জানালেন বাঁকুড়া জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়া পুর ভোটে দলের প্রার্থী তালিকার দৌড়ে থেকেও শেষ অবধি প্রার্থী পদ না পাওয়ায় নির্দল হয়ে ভোটের লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন এক তৃণমূল নেতা ও দুই স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূলের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে এভাবে ভোটের লড়াইয়ে নামা গোঁজ প্রার্থীর তকমা পাওয়া এই তিনজন ভোটের লড়াইয়ে তৃণমূলের বিশেষ ক্ষতি করতে পারবে না৷ তাই,এই ত্রয়ী গোঁজ প্রার্থীর কোন গুরুত্ব নেই। এমনটাই দাবী করলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র। তিনি বাঁকুড়া২৪X৭ কে সাফ জানান,বাঁকুড়া পুরসভায় মোট ৯১ জন প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূলের ২৪ জন বাদ দিলে,বাকি সব প্রার্থীই আমাদের বিপক্ষে লড়াই করবেন।তাই,গোঁজ বলে কিছু নেই।

তিনি আরও বলেন, এবার যা পরিস্থিতি তাতে বাঁকুড়া পুরসভায় ২৪-০ ব্যবধানে বোর্ড গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। এবং দলের টিকিট না পেয়ে যারা ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন,তাদের জন্য দলের দরজা বন্ধ তাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন দিব্যেন্দু বাবু।তিনি বলেন, কালীপদ রায়, জয়ন্ত মিত্রের মতো জেলার অনেক নেতা তৃণমূল দল ছেড়ে আর দলে ফিরতে পারছেন না। তাই এই গোঁজ প্রার্থীদেরও তৃণমূল দলে ফেরাবে,সেই সম্ভাবনা নেই।প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া পুরসভার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় চারটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের এক নেতা ও দুই নেত্রী নির্দল হিসেবে এবং এক নেতা জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন।যদিও ৯ নাম্বার ওয়ার্ডে জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন দাখিল করা তৃমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলার পার্থ সারথি দে(ঝুকা) মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

তবে ফের তিনি তৃণমূলে ফিরে আসলেও ৭ নাম্বারে গত পুরবোর্ডের উপ পুর প্রধান দিলীপ আগরওয়াল,১৮ নাম্বার ওয়ার্ডে গতবারের মহিলা কাউন্সিলর অন্যান্য রায় চক্রবর্তী এবং ২৩ নাম্বার ওয়ার্ডে প্রাক্তন তৃণমূল মহিলা কাউন্সিলর লতিকা হালদার নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ছেন। স্বভাবতই,এই তিন জন শহরে ভোট বোদ্ধাদের কাছে তৃণমূলের "গোঁজ"- প্রার্থীর তকমা পেয়ে এখন সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন৷ ভোট বিশেষজ্ঞদের মতে এই গোঁজ প্রার্থীরা তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারলে, এই তিন ওয়ার্ডে তৃণমূল বিরোধী বিজেপি ও বামেদের লড়াই খানিকটা সহজ হবে। যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতির দাবী, এই গোঁজ প্রর্থীরা তৃণমূলের জয়ে কোন বাধা হবে না।

এখন দেখার, এই গোঁজের গেরো সত্যিই ভোটে কতখানি "ফ্যাক্টর"- হয়ে দাঁড়ায়? তার মাপকাঠি কিন্তু ভোটে ফলাফলেই টের পাওয়া যাবে।

👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story