শহর বাঁকুড়া

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার বাঁকুড়ার ছাত্র দীপশেখর,ছেলে এমন করতেই পারেনা, দাবি বাবা-মায়ের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরীকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাকে ম্যারাথন জেরা করেই বাকি ২জনের নাম জানতে পারে পুলিশ। এমনটাই সুত্রের খবর। তার ভিত্তিতেই বাঁকুড়ার দীপশেখর দত্ত এবং হুগলীর আরামবাগের বাসিন্দা মনোতোষ ঘোষ কে গ্রেফতার করা হয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার বাঁকুড়ার ছাত্র দীপশেখর,ছেলে এমন করতেই পারেনা, দাবি বাবা-মায়ের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে গ্রেফতার আরও দুই।এই গ্রেপ্তার হওয়া দুই ছাত্রের মধ্যে একজন বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা। নাম দীপশেখর দত্ত।শহরের মাচানতলার ফেমাস হোটেলের গলির বাসিন্দা সে।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। দীপশেখর দত্তের সাথে সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পডুয়া মনতোষ ঘোষকেও শনিবার গ্রেফতার করে যাদবপুর থানার পুলিশ। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় এই নিয়ে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন।অন্যদিকে,এই পড়ুয়াকে গ্রেপ্তারের জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে।

ধৃত বাঁকুড়ার ছাত্র দীপশেখরের বাবা মধুসুদন দত্ত পেশায় ব্যবসায়ী।তিনি আজ সকালে জানতে পারেন যে,ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তবে,তার দৃঢ় বিশ্বাস,ছেলে এমন কান্ডে যুক্ত হতে পারেনা। পাশাপাশি,তিনি জানান,যে ঘটনা ঘটেছে তা তিনি সমর্থন করেন না।তিনিও ছেলের বাবা।কোন মায়ের কোল খালি হয়ে যাক এটা তিনিও চান না। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করেছে ছেলেকে। এবার পুরোটাই আইনি বিষয়।তবে তিনি মনে করেন তার ছেলে এই ঘটনায় যুক্ত নয়। একই অভিমত দীপশেখরের মায়েরও। তিনি জানান,কিভাবে এই ঘটনায় ছেলের নাম জড়িয়ে গেল তা বুঝে উঠতে পারছেন না। ছেলে এমন কান্ড ঘটাতেই পারেনা।

প্রসঙ্গত,বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় বাংলার প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। বিবস্ত্র অবস্থায় আহত স্বপ্নদীপকে উদ্ধার করে যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর সহপাঠীরা। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করে যাদবপুর থানার পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ থেকে ১২ জন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হস্টেল থেকে উদ্ধার হয় কালো ডায়েরিও। যা তদন্তের অন্যাতম সূত্র হিসেবে কাজে লাগবে পুলিশের।এমনটাই মনে করা হচ্ছে।প্রাথমিক তদন্তের সুত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয় আরও দু’‌জন ছাত্রকে।

আগেই,এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা হস্টেলের আবাসিক সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাকে ম্যারাথন জেরা করেই বাকি ২জনের নাম জানতে পারে পুলিশ এমনটাই সুত্রের খবর। তার ভিত্তিতেই বাঁকুড়ার দীপশেখর দত্ত এবং হুগলীর আরামবাগের বাসিন্দা মনোতোষ ঘোষ কে গ্রেফতার করা হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে থাকত ধৃত সমাজবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া মনোতোষ। এই মনোতোষের অতিথি হিসেবেই হস্টেলে ছিল স্বপ্নদীপ। স্বাভাবিক ভাবেই মনোতোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই রাতের বিশদ তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

পাশাপাশি, আর কারা,কারা এই ঘটনায় যুক্ত ছিল তা নিশ্চিত করে তদন্তে গতি আনার কৌশল নিয়েছে পুলিশ। ফলে, স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যু কান্ডে গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা যে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story