শহর বাঁকুড়া

প্রেম ঘটিত বিবাদের জেরে বন্ধুদের দুই দলের হাতাহাতি,মার খাওয়ার বদলা নিতেই আমনকে খুন,কবুল ধৃতের।

আমন খুনের দুই ঘন্টার মধ্যেই আততায়ী সাগর সিং ওরফে চন্দ্রশেখর সিংকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।ধৃতকে জেরা করতেই খুনের মোটিভ স্পষ্ট হয়ে যায় পুলিশের কাছে। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

প্রেম ঘটিত বিবাদের জেরে বন্ধুদের দুই দলের হাতাহাতি,মার খাওয়ার বদলা নিতেই আমনকে খুন,কবুল ধৃতের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : প্রেম ঘটিত বিবাদের জেরে বন্ধুদের দুই দলের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি,আর তার শেষ পরিনতিতে যে খুনের মতো ঘটন ঘটবে! তা কেউ ভেবে উঠতেই পারেননি! আমন খুনের ঘটনায় এমন তথ্যই উঠে এল। যা বাঁকুড়ার মতো শান্তিপ্রিয় শহরের বাসিন্দাদের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের। পাশাপাশি, এমন ঘটনা আজকের যুব সমাজের বিপথগামীতার দিকটিকেও প্রকাশ করে দিল বলে অনেকেই মনে করছেন।আমন খুনের ঘটনায় ধৃত অভিযুক্ত যুবক এই খুনের কারণ পুলিশের কাছে কবুল করেছে। প্রাথমিক তদন্তে খুনের মোটিভ হিসেবে উঠে আসা তথ্য হাতে এসেছে বাঁকুড়া২৪X৭ এর কাছেও।

গতকাল,সন্ধেতে শহরের প্রতাপবাগানে শেখ আমনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ফলেই তার মৃত্যু হয়।সাথে,সাথে তদন্তে নামে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। এবং ঘন্টা দুইয়েকের মধ্যেই খুনের কিনারা করে ফেলে।ওইদিন রাতেই আততায়ী সাগর ওরফে চন্দ্র শেখর সিং কে বাঁকুড়ার শ্যামদাসপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এবং সাগরের রক্ত মাখা জামা,আপরাধে ব্যবহৃত মোটর বাইক এবং মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে। বছর ২৪ এর সাগর ওরফে চন্দ্রশেখর কেন আমনকে খুন করল? তা জেরায় স্বীকার করে সে।

জেরায় কবুল করা তথ্যের ভিত্তিতে যে ঘটনা উঠে এসেছে তা হল: ধৃত সাগরের বন্ধু সঞ্জয় সিং এবং আর এক বন্ধু ওম দের মধ্যে স্থানীয় একটি মেয়ের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক জনিত বিবাদের কারণে শত্রুতা গড়ে ওঠে।এবং এই ত্রিকোণ প্রেমের বিবাদ শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের দুটি দলের মধ্যে গড়ায়। এতে উভয় পক্ষের বন্ধুদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। মৃত শেখ আমান সঞ্জয় সিং-এর পক্ষ নিয়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। এবং সাগর সিংকে মারধর করে।পাশাপাশি,ফোনে সাগরকে গালিগালাজ করে আমন। এরপর, আমনের হাতে মার খাওয়ার বদলা নিতে ছক কষে সাগর।

শুক্রবার,সন্ধ্যেতে আমন প্রতাববাগান এলাকায় যখন একা বাইকে চড়ে ফিরছিল।তখন, আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমনের গলায় আঘাত করে সাগর। এবং আমনের মৃত্যু হয়। এরপর, খুন হওয়ার দুই ঘন্টার মধ্যেই খুনের কিনারা করে ফেলে পুলিশ। সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ, শনিবার,তাকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে, বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ এখনও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।সাগরকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে অস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানাগেছে।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story