শহর বাঁকুড়া

টোটোতে ধাক্কা ডাম্পারের, দিদা সহ সাত বছরের নাতির মৃত্যু,উত্তাল রতনপুর,পুলিশের গাড়ী ভাঙ্গচুর,পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ।

টোটোতে ধাক্কা ডাম্পারের, দিদা সহ সাত বছরের নাতির মৃত্যু,উত্তাল রতনপুর,পুলিশের গাড়ী ভাঙ্গচুর,পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল ওন্দা থানার রতনপুরের মৃতিবাঁধ। একটি বালি বোঝাই ডাম্পার উল্টোদিক থেকে আসা টোটোতে সজোরে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তৃপ্তি ঘোষ (৫০) নামে এক মহিলা এবং তার সাত বছরের নাতি মৃন্ময়। পাশাপাশি আহত হয়েছেন টোটোর চালকও। এই দুর্ঘটনার ঠিক পরেয় ঘাতক ডাম্পারের চালক গাড়ী ফেলে চম্পট দেয় বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। এদিকে ঘটনার অনেক পরে পুলিশ মৃতিবাঁধে পৌঁছানোর জেরে ক্ষুদ্র এলাকাবাসী পুলিশের গাড়ী ভাঙ্গচুর করে এবং মৃতদেহ ফেলে রেখে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভে জেরবার হয়ে কার্যত চাপে পড়ে যায় ওন্দা থানার পুলিশ।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ইন্দপুর থানা এলাকার শ্যামপুর গ্রাম থেকে তৃপ্তি দেবী নাতিকে নিয়ে বালিগুমা যাচ্ছিলেন৷ রতনপুর - বিবড়দা রোডের মৃতিবাঁধের কাছে বিবড়দামুখী একটি বালি বোঝাই ডাম্পার মুখোমুখি টোটোতে ধাক্কা মারে।ঘটনাস্থলেই তৃপ্তিদেবী ও তার সাত বছরের নাতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষ। পুলিশের নেতিবাচক ভুমিকায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।ভাঙ্গচুর করা হয় পুলিশ জিপ।মৃতদেহ তুলতেও বাধা দেওয়া হয় পুলিশকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিবেক বর্মার নেতৃত্ব বিশাল পুলিশ বাহিনী রতনপুর পৌঁছায়।এবং গ্রামবাসীদের সাথে দফায়,দফায় আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

এর পর মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় ওন্দা থানার পুলিশ।পথ দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে, কিন্তু খবর দেওয়ার পর পুলিশ কেন দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছবে? এই প্রশ্ন তুলে এদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। তাদের দাবী দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। এবং পুলিশ কে আরও মানবিক হতে হবে। এখন দেখার এই ঘটনার পর ওন্দা থানার পুলিশ কতটা সক্রিয় পরিষেবা দিতে সচেষ্ট হন। সেদিকেই নজর রইল এলাকাবাসীর।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇




Next Story