শহর বাঁকুড়া

বাড়ির মেঝে ছুঁলেই ছেঁকা,জল ঢাললেই মূহুর্তে হচ্ছে গরম,জ্বলে উঠছে টেস্টার!ছাতনার গ্রামে হচ্ছেটা কি?

কুম্ভকার পরিবারের এক সদস্য সোমনাথ কুম্ভকার জানালেন,এমন ঘটনা গত কয়েকদিন ধরে তারা টের পাচ্ছেন। প্রায় দুই বছর ধরে এই ঘরে বসবাস করলেও এর আগে কোনদিন এমন হয়নি।স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে তাদেরকেও।

বাড়ির মেঝে ছুঁলেই ছেঁকা,জল ঢাললেই মূহুর্তে হচ্ছে গরম,জ্বলে উঠছে টেস্টার!ছাতনার গ্রামে হচ্ছেটা কি?
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাড়ির মেঝে ছুঁলেই লাগছে ছেঁকা! জল ঢাললেই মূহুর্তের মধ্যে হয়ে যাচ্ছে গরম? দেওয়ালে টেস্টার ঠেকালে জ্বলে উঠছে টেস্টারের ল্যাম্প!এমন অদ্ভুত কান্ডের জেরে জেরবার বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মহিসানা ভুঁইয়াপাড়া গ্রামের কাশীনাথ কুম্ভকারের পরিবার। গত তিন- চার দিন ধরে ঘটে চলেছে এই অদ্ভুত ঘটনা।প্রথম,প্রথম বাড়ির সদস্যরা ভাব ছিলেন হয়তো মনের ভুল।তার পর কটা দিন পার হতেই ছেন ছেঁকার তীব্রতা বড়ছে!বাড়ির সিঁড়ির মেঝেতে পা ফেললেই পা পুড়ে যাচ্ছে। হাত রাখলেই লাগছে ছেঁকা।

আর এই সিঁড়ি লাগোয়া দেওয়ালে টেস্টার ঠেকালেই টেস্টারের ল্যাম্প জ্বলে উঠছে। এযেন বাড়িময় বিদ্যুৎ ছুটছে? এই ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে পুরো কুম্ভকার পরিবার। ঘটনা টের পেয়েই বাড়ির কর্তা কাশীনাথ বাবু স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে পুরো ঘটনা জানান।আর এই অদ্ভুত কান্ডের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ামাত্র কুম্ভকার পরিবার ভীড় বাড়তে থাকে উৎসাহী জনতার। প্রশ্ন উঠতে থাকে কেন এমনটা ঘটছে! এটা আসলে হচ্ছেটা কি? কুম্ভকার পরিবারের এক সদস্য সোমনাথ কুম্ভকার জানালেন,এমন ঘটনা গত কয়েকদিন ধরে তারা টের পাচ্ছে।

প্রায় দুই বছর ধরে এই ঘরে বসবাস করলেও এর আগে কোনদিন এমন হয়নি।স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে তাদেরকেও।এদিকে,এই ঘটনার খবর পেতেই শনিবার রাতে গ্রামে ছুটে যান পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মী ও কর্মকর্তারা। বিজ্ঞান মঞ্চের বাঁকুড়া জেলা শাখার সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র নিজেও গ্রামে হাজির হয়েছিলে।তিনি কুম্ভকার পরিবার এবং গ্রামের লোকজনদের তারমতো করে বোঝান।তার যুক্তি,সিমেন্টর সাথে কোন রাসায়নিক বিক্রিয়াতে গ্যাস উৎপন্ন হয়ে তাপ তৈরি করতে পারে।এছাড়া তার আরও যুক্তি, বাড়িতে বৈদ্যুতিক সংযোগ থকলেও আর্থিং নেই।

তাই বৈদ্যুতিক তার ও বাড়ীর বীমের ভেতরের লোহার রডের সাথে সর্ট সার্কিট এর ফলে টেস্টার জ্বলে উঠার ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেন জয়দেব বাবু।


তার দাবীএটা কোন অলৌকিক বা ভুতুড়ে কান্ড নয়। এসব যুক্তিতে অবশ্য মন ভরেনি কুম্ভকার পরিবারের।তারা চাইছেন এই ঘটনার থেকে তাদের যেন। মুক্তি মেলে। কিন্তু সমস্যা আজও রয়ে গেছে।এই ঘটনার উৎসের কোন খোঁজ কেও দিতে না পারায় তারা চাইছেন প্রশাসনিক স্তরে তদন্ত করা হোক।বিশেষজ্ঞ টিম আনার ব্যবস্থা করা হোক। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন এই কান্ডের রহস্য উদঘাটনে এগিয়ে আসে কিনা?

👁️‍🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story