শহর বাঁকুড়া

পাঁচবার হাসপাতাল বদলেও শেষরক্ষা হল না,চোখের জলে,গান স্যালুট বিদায় সিআরপিএফ জওয়ান অমিতকে।

পাঁচবার হাসপাতাল বদলেও শেষরক্ষা হল না,চোখের জলে,গান স্যালুট বিদায় সিআরপিএফ জওয়ান অমিতকে।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : অসুস্থ অমিতকে বাঁচানোর জন্য পাঁচবার হাসপাতাল বদল করা হয়েছে।এমনকি এয়ারবাসে করে কাশ্মীর থেকে আকাশ পথে দিল্লী নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থাও সেরে ফেলেছিল সিআরপিএফ জওয়ান অমিত শীটের ৯৮ নাম্বার ব্যাটেলিয়ন। কিন্তু আমিতের শরীর সায় দেয়নি।বরং তার অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে বাধ্য হয়ে ১০ ডাক্তারের মেডিকেল বোর্ড গড়ে কাশ্মীরেই তাকে বাঁচানোর লড়াই চলে। কিন্তু শেষে সেই লড়াই আর জেতা গেল না।

তেরঙ্গা পতাকা মোড়া কফিন বন্দি অমিতের দেহ এল গোড়াবাড়ি গ্রামে। অকালে গ্রামের ছেলেকে হারানোর শোক গ্রাস করেছে গোটা গ্রামকে। কাতারে,কাতারে মানুষ আমিতের শেষ যাত্রায় সামিল হয়েছেন।তার অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়ায় মানুষের ঢল নামে গোড়াবাড়ি গ্রামের শ্মশানে। এখানেই সিআরপিএফ গান স্যালুট দিয়ে অন্তিম সম্মান জ্ঞাপন করে অমিতের প্রতি।অমিতের অসুস্থতা থেকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ পর্যন্ত অবিচ্ছেদ্য ছিলেন অমিতের সহকর্মী তপন দত্ত। তিনি অমিতকে বাঁচাতে না পারার আক্ষেপ চেপে রাখতে পারেন নি।

এর আগেও পেটের ব্যাথা নিয়ে আসুস্থ হয়েছিল অমিত।কিন্তু ব্যাটেলিয়ানের চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করে তোলেন। কিন্তু তার পর ১০জুলাই ডিউটি করতে,করতে তিনি ফের গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এবং ১৩ তারিখ গভীর রাতে মারা যান।বাঁকুড়ার গোড়াবড়ির বাসিন্দা অমিত ভালো গানও করত।ছিল খেলাধুলার প্রতিও ঝোঁকও।২০০৬ সালে তিনি সিআরপিএফ বাহিনীর কাজে যোগ দেন। অমিত চলে গেলেও রেখে গেলেন তার বাবা,মা,ভাই,ভাইয়ের বৌ এবং স্ত্রী ও তার দুই কণ্যাকে।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇


Next Story