শহর বাঁকুড়া

কোভিড আবহে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা খড়গপুর - হাটিয়া প্যাসেঞ্জারের যাত্রা শুরু,চালক ও গার্ডকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ সাংসদের।

কোভিড আবহে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা খড়গপুর - হাটিয়া প্যাসেঞ্জারের যাত্রা শুরু,চালক ও গার্ডকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ সাংসদের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন :(সঞ্জয় সরকার বিষ্ণুপুর): করোনা আবহে প্রায় দীর্ঘ দু'বছর বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে ফের চালু হল ১৮০৩৫ খড়গপুর-হাটিয়া প্যাসেঞ্জার ভায়া বিষ্ণুপুর ট্রেনটি। আজ বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুর স্টেশনে এসে ট্রেনটিকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে ট্রেনের চালক ও গার্ডকে ফুলের মালা এবং ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা দিলেন। সাংসদ নিজেও ট্রেনের টিকিট কেটে আর পাঁচজন সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বিষ্ণুপুর থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত যাত্রা করলেন। বাঁকুড়া হয়ে আদ্রা এবং পুরুলিয়ার উপর দিয়ে যাওয়া এই ট্রেনটি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের খুবই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল। কারণ বছরখানেক ধরে সকাল৮জ!টার পর প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছিল সেই দুপুর ১টা নাগাদ। মাঝে দীর্ঘ সময় কোনো ট্রেন না থাকায় ছোট স্টেশনের যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। যা নিয়ে ক্ষোভ ছিল নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রীদের। তাই এই ট্রেন চালু করার দাবি জানিয়ে বারবার সরব হয়েছেন তাঁরা। এতদিন পর সাংসদের হস্তক্ষেপে যার সুরাহা মিলল। এই বিষয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন 'করোনার সময় থেকে অন্যান্য ট্রেনের সঙ্গে খড়গপুর-হাটিয়া প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

পরবর্তীকালে অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার পর অধিকাংশ ট্রেন ফের চালু করা হলেও এই টেনটি চালু করা হয়নি ওই ট্রেন ফের চালু করার দাবি জানিয়ে নিত্যযাত্রীরা আমার কাছে বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ট্রেনটি চালু করার বিষয়ে রেল মন্ত্রকের সাথে কথা বলার জন্য আমাকে বলেছিলেন। আমি বিষয়টি রেলমন্ত্রীর নজরে আনি।


তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন মন্দির নগরীর যাত্রী সুবিধার ক্ষেত্রে বন্ধ থাকা ট্রেনটি পূণরায় চালু করা হবে। যাত্রীদের পক্ষ থেকে আমি রেলমন্ত্রীকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি মানুষের এই চাহিদা পূরণ করার জন্য।আজ থেকে খড়্গপুর-হাটিয়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন প্রতিদিন আগের নির্ধারিত সময়ে চলবে'।

Next Story