আরতি করতে করতে আবেগে কেঁদে ভাসালেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়,পুজো শেষে জানালেন মায়ের কাছে কি,কি চাইলেন তিনি?
কল্যাণ বাবুর এই কান্না এবং ভাবে বিভোর হওয়া নতুন নয়। শ্রীরামপুরে মহাঅষ্টমীর সন্ধিপুজোর সময়ও কেঁদে ভাসিয়েছিলেন। এমনকি গত বছর তাঁর বাড়ীর এই কালীপুজোতেও ভাবে বিভোর হয়ে মাতৃ বিগ্রহ জড়িয়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল। এবারও একই চিত্র ধরা পড়ল বাঁকুড়া২৪এক্স৭ এর ক্যামেরায়।

বাঁকুড়া২৪x৭,প্রতিবেদন : সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পারিবারিক কালী পুজো এবছর শতবর্ষে পদার্পণ করল। এই পৈতৃক কালী মন্দিরে প্রতি বছর কালী পুজোয় নিজে হাতে মায়ের পুজো করেন তিনি।হুগলীর শ্রীরামপুরের সাংসদ হলেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র।তাই রাজনৈতিক শত ব্যস্ততার মধ্যেও ফি বছর কালীপুজোর কটা দিন চলে আসেন বাঁকুড়ার পৈতৃক ভিটে মোলডুবকায়। শহরের দোলতলা লাগোয়া এই প্রাচীন পল্লীতে কালী পুজোর দিন ভীড় উপচে পড়ে।দলের নেতা,মন্ত্রীদের পাশাপাশি কর্মী,সমর্থক এমনকি অন্যন্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও আসেন এই মন্দিরে। এছাড়া পুরো ব্যানার্জি পরিবারের দেশে- বিদেশে ছড়িয়ে,ছিটিয়ে থাকা সদস্যরাও এই কালীপুজোর কটাদিন চলে আসেন মোলডুবকায়।সবে মিলে বাড়ি মেলা ভীড়ে গমগম করে ওঠে৷
আর, এই কদিন মায়ের আরাধনার পাশাপাশি, নিজেদের পরিবারের সদস্য ও সদস্যারা কার্যত মিলন মেলার স্বাদ অনুভব করেন। এই রেওয়াজ চলে আসছে যুগ,যুগ ধরে। কালী পুজোর দিন রাতে মায়ের পুজোর পাশাপাশি,পরের দিন সকালের পুজো এবং আরতি নিজে হাতে সারেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আরতির পর দেবীর ঘট বিসর্জন হয়। এদিন সকালে আরতির সময় ভাবে বিভোর হয়ে পড়েন তিনি। এবং আরতির শেষে মায়ের বিগ্রহ জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মায়ের কাছেই তো ছেলে কাঁদে,আমিও কাঁদলাম। মায়ের কাছে শক্তি,বিদ্যা,বুদ্ধি চাইলাম। প্রসঙ্গত, কল্যাণ বাবুর এই কান্না এবং ভাবে বিভোর হওয়া নতুন নয়। শ্রীরামপুরে মহাঅষ্টমীর সন্ধিপুজোর সময়ও কেঁদে ভাসিয়েছিলেন এই তৃণমূল সাংসদ।
এমনকি গত বছর তাঁর বাড়ীর এই কালীপুজোতেও ভাবে বিভোর হয়ে মাতৃ বিগ্রহ জড়িয়ে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল। এবারও একই চিত্র ধরা পড়ল বাঁকুড়া২৪এক্স৭ এর ক্যামেরায়।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও 👇