শহর বাঁকুড়া

রাজ্যে পঞ্চম এবং জেলায় মেয়েদের মধ্যে সেরা অন্বেষার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া।

রাজ্যে পঞ্চম এবং জেলায় মেয়েদের মধ্যে সেরা অন্বেষার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : পড়ার এক ঘেয়েমি কাটাতে আবৃত্তি করেই নিজেকে রিচার্জ করে নিত অন্বেষা। তার পর ফের পড়ায় মনোনিবেশ। এটাই ছিল তার রোজ নামচা।পাশাপাশি,নাটকে অভিনয়ও করতে ভালোবাসত সে। বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অন্বেষা চক্রবর্তী এবার মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৮। বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহি রায়পাড়ার বাসিন্দা অন্বেষার বাবা পরীক্ষীত চক্রবর্তী পেশায় হাইস্কুলের ইংরেজি শিক্ষক, আর মা মিঠু দেবী গৃহবধূ। তারাও মেয়ের এই সাফল্যে বেজায় খুশী।

অন্বেষার বাবা বলেন ছোট থেকেই মেয়ের ডাক্তার,ডাক্তার খেলার ঝোঁক ছিল।আর বড়ো হয়েও সে ডাক্তার হতে চাইছে। তাই বাবা হিসেবে মেয়ের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে ডাক্তারি পড়াতে চান তিনি। তার দাবী মেয়ের এই সাফল্যে সব থেকে বেশী আবদান তার মায়ের।এদিকে,অন্বেষা তার সাফল্যের খবর পেয়ে আনন্দিত। তার এই সাফল্যে মায়ের অবদান সব থেকে বেশী বলে জানায় সে।পাশাপাশি,শিক্ষক,শিক্ষিকাদের অবদানের কথাও উল্লেখ করে অন্বেষা। বড়ো হয়ে সে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।সেইমতো এখন থেকে পড়াশোনাও শুরু করে দিয়েছে অন্বেষা।

মাধ্যমিকে এই সাফল্যের জন্য টিউশন, স্কুল বাদ দিয়ে একেবারে নিজের মতো করে প্রতিদিন তিন ঘন্টা করে পড়তে হয়েছে তাকে। তবে,রাতজেগে পড়ার অভ্যেস ছিল না তার।পড়ার ক্লান্তি কাটাতে আবৃত্তি, গান,নাটক এসব তার কাছে টনিক হিসেবে কাজ করত।আর অবসর সময় কাটত গল্পের বই পড়ে। আমাদের ক্যামেরায় অন্বেষা জানাল তার এই সাফল্যের নেপথ্য কাহিনি। বাঁকুড়া২৪X৭এর পক্ষ থেকে অন্বেষার জন্য থাকল অনেক,অনেক শুভেচ্ছা।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story