শহর বাঁকুড়া

নবকলেবরে শহরের রামপুরের রঘুনাথ জীউয়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা,রামনবমীতে উৎসবে মাতলেন এলাকাবাসী।

নবকলেবরে শহরের রামপুরের রঘুনাথ জীউয়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা,রামনবমীতে উৎসবে মাতলেন এলাকাবাসী।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন: বাঁকুড়া জেলার অন্যতম প্রাচীন রাম মন্দির হল শহরের রামপুরের রঘুনাথ জীউয়ের মন্দির। প্রায় চারশো বছরেরও বেশী প্রাচীন এই রাম মন্দির গাত্রে সম্ভবত পালি ভাষার আদলে খদিত ফলকে মন্দিরের ইতিহাস লেখা থাকলেও তা এখনও কেও পড়ে উদ্ধার করতে পারেন নি। তাই প্রকৃত মন্দিরের স্থাপন কাল নিয়ে সংশয় থেকেই গিয়েছে। তবে, বিষ্ণুপুরের মল্লরাজারা এই মন্দিরের বিগ্রহ দান করেছিলেন এবং মিশ্র সম্পদায়কে সেবাইত নিযুক্ত করেন। সেই থেকে মিশ্র পরিবার এই মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব সামলে আসছেন। একেবারে প্রথমে এই মন্দির খড়ের চালা বাড়ী ছিল।পরে পাকা মন্দির তৈরী হয়। এবছর এই মন্দির নবকলেবরে সাজিয়ে তোলা হল। তাই এবার রাম নবমী উপলক্ষ্যে টানা চারদিন ধরে বিশেষ উৎসবের আয়োজন করেছে মন্দির কমিটি। মন্দিরের সেবাইত অভিজিৎ মিশ্র এমনটাই জানালেন আমাদের ক্যামেরায়।

শহরের এই প্রাচীন রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে ১৮ টি পল্লী নিয়ে এক সময় গড়ে ওঠেছিল রামপুর মৌজা। এই মৌজার প্রজাদের দানেই সেই সময় শ্রীরাম নবমীতে বিশেষ উৎসব পালিত হত। তবে, এখন আর সেই চল নেই। স্থানীয় মিশ্ররাই বর্তমানে এই রাম নবমীর উৎসবের দায়িত্ব সামলান। এমনটাই জানালেন এই উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা শুভাশিস মিশ্র।

প্রাচীন এই মন্দিরে চত্ত্বরে বাঁধানো আছে পাথরে ওপর পড়া বিশাল চরণের অবয়ব। এই শ্রীচরণের অবয়ব নিয়ে নানা জনশ্রুতিও রয়েছে। কেও,কেও বলেন গন্ধেশ্বরী নদীতে এই প্রস্তর খন্ড ভেসে এসেছিল। তা এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আবার অনেকে বলেন, রামচন্দ্র এখানে পদার্পণ করেছিলেন।সেই সময় শিলাখন্ডে চরনের ছাপ পড়ে। আবার, মতান্তরে এটিকে বিষ্ণুর চরণ বলেও অভিহিত করা হয়। তবে,এই বিতর্ক ছপিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ জন ভক্তি ভরে এই চরণের অবয়বে পুজো দিয়ে আসছেন যুগ,যুগ ধরে।সেই একই চিত্র ধরা পড়ল রাম নবমীতেও।

👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story