শহর বাঁকুড়া

বিপদে তারাই ভরসা,অথচ মাসে কাজ মেলে মাত্র ১০ দিন,রোজগার শিকেয়,তাই আন্দোলনে সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়াররা।

বিপদে তারাই ভরসা,অথচ মাসে কাজ মেলে মাত্র ১০ দিন,রোজগার শিকেয়,তাই আন্দোলনে সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়াররা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বিপদে,আপদে জীবন কে বাজী রেখে কাজ করেন সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়াররা। কোভিড পরিস্থিতিতেও এরা অতিমারির মোকাবিলায় কাজ করেছেন সুনামের সাথে। কিন্তু বর্তমানে তারাই বিপর্যয়ের শিকার! মাসে মাত্র ১০ দিনের বেশী কাজই পাচ্ছেন না। ফলে রুজি রুটির সঙ্কটে বাঁকুড়া সদর মহকুমার প্রায় ৪৮ জন সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার। এপ্রিলে মাসে ১০ দিনের বেশী কাজ পাবেন না এমন আশঙ্কা করছেন তারা।


জেলার খাতড়া ও বিষ্ণুপুর মহকুমায় যদিও সামান্য বেশীদিন কাজ মিলছে, কিন্তু বাঁকুড়া সদরে তা কমতে,কমতে ১০ দিনে ঠেকেছে। তার ওপর টানা ১২ ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে। অথচ ওভার টাইম ভাতাও নেই। কিন্তু নিয়ম মতো আট ঘন্টার বেশী কাজ করানো যায় না।

বাঁকুড়া জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে ১২ ঘন্টারও বেশী কাজ করাচ্ছেন এমন অভিযোগও উঠছে। এই তুঘলকি আচরণের প্রতিবাদে আজ বাঁকুড়া সদরের প্রায় ৪৮ জন সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কর্মচারী ইউনিয়নের ব্যানারে আন্দোলনে নামলেন। তারা, মাসে ২৮ দিনের কাজের দাবী,৮ ঘন্টার বেশী কাজ করালে ওভার টাইম ভাতা,বাঁকুড়া মেডিকেলে বিভিন্ন কাজে তাদের নিযুক্ত করা,সহ কয়েক দফা দাবীতে জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিকের কাছে স্মারক লিপি দিলেন।


পাশাপাশি, তারা এদিন জেলা কালেক্টরেট চত্বরে বিক্ষোভ মিছিলেও সামিল হন।জানা গেছে,স্মারকলিপি দেওয়া হলেও দপ্তরের আধিকারিক তাদের দাবী পুরণের নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।তাই, আগামী সোমবার থেকে তারা লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হওয়ারও হুমকী দিয়েছেন।

এখন দেখার, জেলা প্রশাসন তাদের দাবী পুরনে কোন ইতিবাচক ভুমিকা নেয় কিনা? কেবল বাঁকুড়ায় নয়। রাজ্যের সব জেলাতেই এই ধরণের কম,বেশী সমস্যায় পড়তে হয় সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ারদের। আন্দোলনও হয়। কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধান অধরাই থেকে যায়। বাঁকুড়ার সমস্যা আরও গুরুতর! এখানকার সদরের ভলেন্টিয়াররা মাসে মাত্র ১০ দিন কাজ পাচ্ছেন। ফলে রোজগার শিকেয় ওঠায় কার্যত বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গিয়েছেন খোদ বিপর্যয় মোকাবিলাকারীরা!

👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇



Next Story