শহর বাঁকুড়া

ডিএমের প্রোফাইল থেকে পুজো কার্নিভালের ভিডিও লাইভে তৃণমূলের পতাকা,ভিডিও ডিলিটের দাবী সুভাষের।

একটি ঠিকাদারী সংস্থাকে এই কার্নিভাল ডিএমের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য বরাত দেওয়া হয়েছিল।সেই ঠিকা সংস্থার ক্যামেরাম্যান কার্নিভাল সরকারি অনুষ্ঠান,না তৃণমূল দলের অনুষ্ঠান তা গুলিয়ে ফেলেছিলেন। তার ফলেই ঘটে এই বিপত্তি।

ডিএমের প্রোফাইল থেকে পুজো কার্নিভালের ভিডিও লাইভে তৃণমূলের পতাকা,ভিডিও ডিলিটের দাবী সুভাষের।
X

পুজোর কার্নিভালের ভিডিও লাইভ হচ্ছিল বাঁকুড়ার জেলাশাসকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ "ডিএম,বাঁকুড়া "-থেকে। আচমকা সেখানে দেখাযায় তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা।শুক্রবার সন্ধ্যের এই ঘটনার জেরে জেলার রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে যায়।বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন,তাকে অনেক বুদ্ধিজীবী ও জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই ঘটনার কথা জানান।পাশাপাশি,সুভাষ বাবুরও নজরে পড়ে এই ঘটনা।এরপরই শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন।

এবং এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি, ভিডিও ডিলিটেরও দাবী তোলেন সুভাষ বাবু। অন্যদিকে,বাঁকুড়া জিলা পরিষদের সভধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু এই ঘটনা ভুলবসত হয়ে থাকতে পারে বলে স্বীকার করে নিলেও এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে পালটা রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন।তিনি বলেন, আসলে বিজেপি স্রেফ বিরোধিতার জন্যই এই কার্নিভালের বিরোধিতা করতে নেমে পড়েছেন।এতে তৃণমূলের কিছু যায়,আসে না।এদিকে,জেলা প্রশাসনের সূত্রে খবর, একটি ঠিকাদারী সংস্থাকে এই কার্নিভাল ডিএমের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য বরাত দেওয়া হয়েছিল।

সেই ঠিকা সংস্থার ক্যামেরাম্যান কার্নিভাল সরকারি অনুষ্ঠান, না তৃণমূল দলের অনুষ্ঠান তা গুলিয়ে ফেলেছিলেন।তাই কার্নিভাল মঞ্চের উলটো দিকে তৃণমূল ভবনের মাথায় উড়তে থাকা দলীয় পাতাকা প্রায় ২০ সেকেন্ড জুম করে লাইভ ফ্রেমে ধরে রাখেন ওই ক্যামেরাম্যান।পাশাপাশি, প্রশাসনিক সুত্রের একাংশ দাবী করছে যে, ড্রোন ক্যামেরায় লাইভের সময় ভুলবসত এই ছবি চলে এসেছে।তবে, এই অজুহাত ধোপে টিকছে না। কারণ, পতাকার ভিডিও ক্যামেরায় তোলা ফ্রেম তা যে কেও এক নজরেই সহযে বুঝে যাবেন।

এখন দেখার, এই লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং এর বরাত পাওয়া ঠিকা সংস্থার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় কিনা?

👁️‍🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story