তিন শিশু কন্যাকে আটকে রাখার নেপথ্যে পাচারের ষড়যন্ত্র? এমন আশঙ্কা করে সরব স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে আটক করল পুলিশ।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : তিন শিশু কন্যাকে আটকে রেখেছিলেন বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকার একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল। আর এই তিন শিশুকে আটকে রাখার পিছনে পাচারের মতলব রয়েছে এমন আশঙ্কা থেকে সরব হলেন এলাকার মানুষ। তারা পুরো বিষয় খতিয়ে দেখতে পুলিশে খবর দেন। বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত কমল কুমার রাজোরিয়া নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। উদ্ধার করে তিন শিশুকেও। এদিকে, ওই শিশু তিনটির মা পরিচয় দিয়ে দুর্গাপুরের কাদারোডের মেনগেট এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা নিজেকে স্বামীহারা বলে দাবী করে জানান,অভাব,অনটনে শিশু গুলিকে তিনি মানুষ করতে পারছিলেন না।
তাই প্রিন্সিপালের কাছে পড়াশোনা করাতে রেখেছিলেন। শিশুগুলিকে তিনি দেখতে এলে তারা বাড়ী যাবার জন্য কান্নাকাটি করে। গাড়ী করে তাই তাদের ফের বাড়ী নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনও স্থানীয় লোকজন শিশু পাচার সন্দেহে হল্লা করে। তার দাবী শিশু পাচারের ঘটনা নয় এটি।যদিও,এই শিশু তিনটিকে আটকে রাখার পিছনে ওই মহিলার দাবী যথেষ্ট অসঙ্গতিপূর্ণ। এই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে এত ছোটো শিশুদের ভর্তিই নেওয়া হয় না। তাহলে কেন তাদের স্কুলে পড়াশোনা করানোর যুক্তি খাড়া করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।আর যদি প্রিন্সিপাল বাচ্চাগুলিকে মানুষ করার জন্যই এনে রাখেন? তাও বেআইনি। কারণ তার কাছে এই শিশু তিনটিকে দত্তক নেওয়ার কোন বৈধ সরকারি অনুমতি নেই। পুরোটাই আইন বিরুদ্ধ। ফলে এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে।
স্থানীয় কালপাথর পঞ্চায়েত প্রধান সুব্রত সাহানার নজরে প্রথম আসে এই ঘটনা। তখন স্থানীয় তৃণমুল অফিসে তিনি মিটিং করছিলেন। একফাঁকে অফিসের বাইরে বেরিয়ে তিনি দেখেন এলাকার একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের মেন গেটে তিন শিশুর কান্নাকাটি করছে৷ সন্দেহ হওয়ায় তিনি গিয়ে প্রিন্সিপালকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসঙ্গতিপূর্ণ উত্তর দিতে থাকেন এবং গাড়ী করে শিশুদের নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তিনি পার্টি অপিস থেকে দলের অন্যান্যদের হাঁক দেন। তারা এসে তিন শিশু, এক মহিলা ও প্রিন্সিপালকে আটক করে পুলিশে খবর দেন।পুলিশ প্রিন্সিপালকে আটক করে থানায় রেখেছে। এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, রাজস্থানের বাসিন্দা এই প্রিন্সিপাল কেন এই শিশু তিনটিকে আটকে রেখেছিলেন তার সদুত্তর মেলেনি। যদিও, তার দাবী তিনি এদের মানুষ করতেই রেখেছিলেন। তার অন্য কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু এলাকার মানুষ এই ঘটনাকে শিশু পাচারের যড়যন্ত্রের সন্দেহ করছেন। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি সত্য উঠে আসে। সেদিকেই নজর রইল সবার।
👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇