শহর বাঁকুড়া

লক্ষ্য নির্মল জেলার তকমা, দিনে চলছে হাজার টি করে শৌচাগার স্থাপনের কাজ।

X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : নির্মল জেলার শিরোপা পেতে প্রতিদিন১০০০ টি করে নির্মল শৌচাগার তৈরীর কাজ হচ্ছে। নভেম্বরের মধ্যে বাঁকুড়া জেলা নির্মল জেলার তকমা পেয়ে যাচ্ছে ।এমনটাই জানিয়েছেন, জেলা শাসক ডাঃ উমাশঙ্কর এস।

ইতি মধ্যেই মেজিয়া, রাইপুর,ইন্দাস ও বিষ্ণুপুর ব্লককে নির্মল ব্লক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসপ্তাহেই সিমলাপাল ব্লকও তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে।

এপর্যন্ত জেলায় ৪ টি ব্লক এই শিরোপা পেলেও এখনও বাকী ১৮ টি ব্লক তাদের লক্ষমাত্রা পুরন করতে পারেনি।এ ব্যাপারে প্রতিটি ব্লককেই অক্টোবর মাসের মধ্যেই বাড়ি বাড়ি শৌচাগার নির্মানের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল জেলাপ্রশাসন। তবে,তার সীমায় খানিকটা ছাড় দিয়ে তা নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাঁকুড়া জেলার মোট ২২টি ব্লকে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ১৬৭ টি শৌচাগার নির্মানের লক্ষমাত্রা নেওয়া হয়েছিল।

তবে,জেলার বিভিন্ন ব্লক মিলিয়ে এখনও প্রায় ৮০ হাজার শৌচাগার নির্মানের কাজ বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে।সম্প্রতি বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে এই কাজের পর্যালোচনা সভায় জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস অক্টোবর মাসের মধ্যেই লক্ষামাত্রা পুরন করার নির্দেশ দেন। এমন কী ওই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে পঞ্চায়েতের নির্মান সহায়ক ও নির্বাহী সহায়কদের পুজোর ছুটি বাতিল করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। দ্রুত শৌচাগার নির্মানের কাজ শেষ করার জন্য স্বনির্ভর দল,এন জি ও এবং একাধিক এজেন্সিকে একসাথে কাজে লাগানো হয়।

সেই মতো বিভিন্ন ব্লক মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে তাদের লক্ষমাত্রা পুরনের জন্য কাজ চালাচ্ছেন জোর কদমে।

বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকে শৌচাগার নির্মানের লক্ষমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৩৩৫ টি।সেই লক্ষমাত্রা পুরন করায় শুক্রবার মেজিয়াকে নির্মল ব্লক হিসাবে ঘোষণা করে জেলাপ্রশাসন। এর পর এই শিরোপা পেতে চলেছে সিমলাপাল ব্লক।

এতদিন,এই প্রকল্পে লক্ষ্যমাত্রা স্থির হলেও প্রশাসনিক দিক দিয়ে তা পূরণের দিকটা খানিক হলেও অবহেলিত ছিল।কাজ চললেও, তা ছিল ঢিমে তালে।

ব্লক গুলোতেও গা ছাড়া ভাব ছিল এই প্রকল্প নিয়ে। অনেক গ্রাম থেকে উপভোক্তা দের কাছে শৌচাগার পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ আসছিল আকছার!

তার ওপর, পঞ্চায়েত ভোট পড়ে গিয়ে আরও পিছিয়ে যায় প্রকল্পটি।

জেলায় নুতন জেলা শাসক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েই উমাশঙ্কর এস এই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উঠে পড়ে লাগেন।কাজ না হলে কমীদের পুজোর ছুটি বাতিলের হুমকী দেন।নির্মল শৌচাগারের কাজে অনীহা দেখালে, ঠীকাদারদের অন্য কাজের বরাত না দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেন। তার পরই এই কাজে নজরে পড়ার মতো অগ্রগতি ঘটে। এখন দিনে জেলায় গড়ে প্রায় ১০০০টি করে নির্মল শৌচাগার স্থাপন করা হচ্ছে। তাই নভেম্বর মাসেই নির্মল জেলার তালিকায় বাঁকুড়ার নাম যুক্ত হয়ে যাবে বলে জোর গলায় জানিয়েছে খোদ জেলাশাসক। নীচের ভিডিও টি ক্লিক করে শুনুন জেলাশাসকের বক্তব্য। [playlist type="video" ids="570"]

Next Story