আত্মহত্যা করতে না পেরে, নিজের শিশুকন্যা কে হত্যা করে -সিমলাপালের 'খুনী মা'!
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : সিমলাপাল,৩১ আগস্ট : নিজে আত্মহত্যা করতে না পেরে, শেষে শিশু কন্যাকেই খুন করার সিদ্ধান্ত নেন সিমলাপালের খুনী মা! বাঁকুড়া২৪X৭ এর কাছে অকপট স্বীকার উক্তি!
বছর খানেকের ফুটফুটে শিশু কন্যাকে নিয়েই অশান্তির শুরু। স্বামীর চোখে এই শিশু নাকি অবৈধ? স্বামী সঞ্জীবের সন্দেহ ছিল নিজের শ্বশুর বা শ্যালকের সাথে অবৈধ সম্পর্কের ফসল এই একরত্তি প্রিয়া ওরফে তানিষ্কা। আর স্বামীর এই সন্দেহের জেরে নিষ্ঠুর অত্যাচার চালানে হয় তাপসীর ওপর। একে বাবা,ভাইয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের মতো চরম অপমানকর অভিযোগ তার ওপর প্রতিদিনের ঝগড়া ঝাটির চক্রব্যূহে পড়ে হাসফাস অবস্থা হয় তাপসীর। ঠিক করে নিজেকেই শেষ করে দেবে! কিন্তু পারেনি আরও দুই সন্তানের কথা ভেবে। তখন সিদ্ধন্ত নেয় যে, এই যেহেতু সবচেযে ছোট, আর একে নিয়েই সংসারে অশান্তি তাই একে মেরে ফেলে সংসারে শান্তি ফেরাতে।
তাই ভোর রাতে ঘুমন্ত শিশু কন্যাকে বড়ো বালতীতে ভরে নদীতে ময়লা ফেলার নাম করে ঘর থেকে বেরিয়ে শীলাবতী নদীতে জলে চুবিয়ে মেরে ফেলেন।
ভেবেছিলেন এই ঘটনা কেও টের পাবেন না।কিন্তু ২৫ আগস্ট ঘটনার দিনই জেলেরা শিশুটির দেহ উদ্ধার করেন। পরে পুলিশের জেরায় সব ঘটনা স্বীকার করলে তাপসী দেবী ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ খাতড়া মহকুমা আদালতে তাদের তোলা হলে তাপসী দেবীর ৩ দিনের পুলিশী হেফাজত এবং স্বামী সঞ্জীবের১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।