বজ্রপাতের হাত থেকে এবার পুলিশ লাইনকে বাঁচাবে তাল গাছের সারি ! লাগানো হচ্ছে প্রায় ২০০ তাল চারা।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন (EXCLUSIVE) : এবার তাল গাছের সারিই বজ্রপাতের হাত থেকে বাঁচাবে বাঁকুড়ার পুলিশ লাইনকে।
প্রাকৃতিক উপায়ে এই বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আজ "ক্লীন এন্ড গ্রীন"- কর্মসুচীর অধীনে, পুলিশ লাইনে তাল গাছের বীজ রোপনের পাশাপাশি, কিছু খেজুর, সুপারী গাছও রোপন করা হয়।
এই কর্মসুচীর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন জেলার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা। প্রাথমিক ভাবে বেশ কিছু তালের বীজ এদিন লাগানো হলেও ধাপে,ধাপে পুলিশ লাইনে প্রায় শ'দুয়েক তাল গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
কৃত্রিম ভাবে বজ্রনিরোধক টাওয়ারের প্রচলন যখন ছিল না, সেই সময় অর্থাৎ বৃটিশ আমলে পুলিশ লাইন,ব্যারাক, সেনা ছাউনীতে প্রকৃতিক উপায়ে বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে তাল গাছ লাগানো হত। এর নেপথ্যে বিজ্ঞান সম্মত যুক্তিও রয়েছে। তাল গাছ সবথেকে উঁচু হওয়ায় সহজে বাজকে টেনে নিতে পারে। এবং গাছটি নিজে বজ্রাঘাতে মারা পড়লেও তার আগে, বজ্রপাতের সময় পুরো বিদ্যুৎ কে নিমেষে মাটির মধ্যে মিশিয়ে দিয়ে বিপদের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ, বাংলাদেশে এখন প্রচুর তাল গাছ লাগিয়ে, একই ভাবে প্রাকৃতিক বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য নানা প্রকল্প হাতে দিয়েছে সে দেশের সরকার।
এই বাংলাতেও তেমনই এক কর্মসূচি নিল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ।
জানা গেছে,বৃটিশ আমলে পুলিশ লাইনের পুকুরের পাড়ে প্রচুর সংখ্যায় তাল গাছ ছিল।তখন বাজ পড়লে তাল গাছ থাকায় পুলিশ লাইনের কোন ক্ষতি হত না। সেই পুরানো ধারনাকেই কাজে লাগিয়ে, এই তাল গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয় বলে জানান, পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা।
তিনি আরও বলেন, তাল অর্থকরী গাছ হিসেবে সারা বাংলায় পরিচিত। পাশাপাশি, বাজ পড়ার হাত থেকে বাঁচানোর দারুণ ক্ষমতা আছে তাল গাছের। তাল গাছ হল উত্তম লাইটিনিং কনডাক্টর। তাই, পুলিশ লাইনের মতো বড়ো কম্পাউন্ডে, প্রাকৃতিক বজ্রনিরোধক হিসেবে তাল গাছ অনেক উপযোগী।
তিনি জানান, যদিও আমাদের লাইনে কৃত্রিম বজ্রনিরোধক টাওয়ার আছে। তবুও, প্রাকৃতিক উপায়ে বিকল্প একটা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ইচ্ছে থেকেই এই কর্মসূচি আমরা নিয়েছি।
এছাড়াও একটি পরিবেশ বিজ্ঞান পাঠাশালাও গড়ে তোলা হয়েছে।