ব্রেকিং নিউজ

দুই বাংলার পট শিল্পীদের মেলবন্ধনে এবার ভরতপুরের পটচিত্রের পট পরিবর্তনের প্রয়াস জেলা পুলিশের।

দুই বাংলার পট শিল্পীদের মেলবন্ধনে এবার ভরতপুরের পটচিত্রের পট পরিবর্তনের প্রয়াস জেলা পুলিশের।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জেলা পুলিশের সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় এবার শুশুনিয়ার ভরতপুরের প্রাচীন পট শিল্প নুতন আঙ্গিক পেতে চলেছে। এই পট শিল্পের সাথে মেলবন্ধন ঘটতে চলেছে ওপার বাংলার পট শিল্পের সৃজন শৈলীর। বাংলা দেশের শিল্পীরা শুশুনিয়ায় এক কর্মশালায় এজন্য মিলিত হন। ওপার বাংলার বিখ্যাত শিল্পী ও লেখক গোলাম মোহাম্মদ জোয়ারদার ভরতপুরের শিল্পীদের সাথে ওপার বাংলার পট চিত্রের নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোকপাত করেন এই কর্মশালায়। তিনি বলেন বাংলাদেশের তুলনায় এপার বাংলার পট চিত্র খানিকটা বেশী ধর্ম নির্ভর। কিন্তু বাংলাদেশে পৌরানিক কাহিনি আঁকার চল বেশী রয়েছে পটুয়াদের মধ্যে। তবে,পট শিল্পের বানিজ্যিক বাজার সেই অর্থে এখনও গড়ে ওঠেনি বলেও তার আক্ষেপ রয়েছে। কিন্তু এই শিল্প আসলে একটা দেশের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক তাই এই শিল্প কে বাঁচিয়ে রাখাটা জরুরী। সেই কাজটা এই কর্মশালাতেও উঠে এসেছে বলেও তিনি জানান। তার সাফ কথা বাঁকুড়া জেলা পুলিশ তাদের গতানুগতিক কাজের গন্ডি ছাড়িয়ে এভাবে দুই দেশের প্রাচীন পট শিল্প ও শিল্পীদের মধ্যে যেভাবে মেলবন্ধন ঘটাতে এগিয়ে এসেছে তার তারিফ করতেই হয়। এখন দুই দেশের সরকারও যদি এই ধরনের কাজে আরও বেশী করে উদ্যোগী হয় তাহলে দুই বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে। প্রসঙ্গত,শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে ভরতপুরে রয়েছেন ১৮ টি চিত্রকর পরিবারের। এক সময় মূলত আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু হিসেবে আদিবাসীদের সৃষ্টির বৃতান্ত পটে এঁকে গ্রামে গ্রামে গান গেয়ে রোজগার করতেন এই পটুয়ারা। আর, আদিবাসী সমাজের কেও মারা গেলে চক্ষুদান -প্রথায় মোটা টাকা দক্ষিণা,চাল,কাঁসার বাসন পত্র দান হিসেবে মিলত। সেই সূত্রে আদিবাসীদের দান করা জমিতেই আজও বসবাস করছেন চিত্রকর পরিবারের লোকেরা। এভাবে শুরু হলেও পরে, পরে,হিন্দু দেব দেবী মাহাত্ম্য, পৌরাণিক কাহিনী, কৃষ্ণলীলা প্রভৃতির পট এঁকে পটের গান করা শুরু হয়। চলে গ্রাম,গ্রামে ভিক্ষেও। তবে,বর্তমানে গ্রামে, গঞ্জে ডিজিটাল বিনোদনের দাপটে আর আগের মতো পটের গানে ভীড় জমেনা। ফলে কমছে রুজিরোজগারও।তবুও বংশের বৃত্তি বঝাই রাখতে আজও নিয়ম করে পট এঁকে ভিক্ষে করতে বের হন এরা।

ভিক্ষের পাশাপাশি আঁকা পট বিক্রি করেও এখন বিকল্প রোজ গারের পথ খুঁজছেন নতুন প্রজন্ম। একেবারে পরিবেশ বান্ধব রঙ অর্থাৎ গাছপালা,মাটি, পাহাড়ের পাথর থেকে নিজেরাই নানা রঙ বানান। কোন কেমিক্যাল ছাড়া প্রাকৃতিক রঙের ব্যবহার হয়ে আসছে ভরতপুরের পট শিল্পে। এই বিশেষত্ব কে পুঁজি করে এই পটে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগিয়ে নুতন করে বিপননের চেষ্টা চালাচ্ছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার থাকা কালীন ভরতপুরের পট শিল্পীদের বেহাল অবস্থা কাটিয়ে তোলার প্রয়াস প্রথম শুরু করেন সুখেন্দু হীরা। তার পর থেকে জেলা পুলিশ এই শিল্পী ও শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও এবার এই পট শিল্পের পট পরিবর্তনে দুই বংলাকে মেলানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।

#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed] href="https://www.bankura24x7.com/11th-february-suvendu-adhikari-has-fixed-the-target-of-gathering-of-50000-booth-workers-at-the-chief-minister-mamata-banerjees-meeting-at-bankura/img-20200203-wa0043/" rel="attachment wp-att-7962">

Next Story