শারদোৎসব

পূজোর বাজারে বিষ্ণুপুরের ডাক শিল্পীরা নিলেন নুতন কৌশল! তারা ডাকের সাজ সস্তায় ভাড়া দিচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তাদের।

পূজোর বাজারে বিষ্ণুপুরের ডাক শিল্পীরা নিলেন নুতন কৌশল!  তারা ডাকের সাজ সস্তায় ভাড়া দিচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তাদের।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দিন দিন বাড়ছে তৈরীর খরচ! মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তার! তাই, নিজেদের রুজিরুটি টিকিয়ে রাখতে এবার, বিষ্ণুপুরের ডাক শিল্পীরা ডাকের সাজ ভাড়া দেওয়া শুরু করলেন।

আার ডাক সাজের বিক্রির বিকল্প হিসেবে এই ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থায় সাড়াও মিলছে ভালো।

এতে, একধাপে খরচ অনেক খানি কমে যাওয়ায় খুশী পুজোর উদ্যোক্তারাও।

বিষ্ণুপুরের এই ডাক শিল্পীদের কাছে বিষ্ণুপুর ছাড়াও বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি, দূর্গাপুর,আসানসোল, পুরুলিয়া, আদ্রা,খড়গপুর, এমন কি বিহার,ঝাড়খন্ড থেকেও বরাত মেলে।

কিন্তু, এখন ডাকের সাজের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তার দাম শিল্পীদের বাড়াতে হচ্ছে খানিকটা বাধ্য হয়েই!

পুজো কমিটির ক্ষেত্রে বেশী দাম দিয়ে ডাকের সাজ কেনাটাও চাপের হয়ে পড়েছে।

এই চাপ কাটাতেই ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থার প্রচলন বলে জানালেন ডাক শিল্পীরা।

বিষ্ণুপুরে,প্রমান মাপের ভালো মানের ডাক সজ্জার দাম যেখানে আট থেকে বারো হাজার টাকা সেখানে ওই একই ডাকের সাজ তিন- চার হাজারে ভাড়ায় মিলছে।

এতে দুই পক্ষই লাভবান হচ্ছেন।

ডাক শিল্পীরা ডাক ভাড়া দেওয়ার পর পুজো শেষে তা খুলে নিয়ে চলে আসবেন। পরে, আবার কালী পূজো বা সরস্বতী পুজো বা আসছে বছর ফের কোন দূর্গা প্রতিমায় ওই ডাকের সাজ ভাড়ায় দেবেন। এতে, ডাক শিল্পীরা বিক্রীর দামের থেকে, হাজার- বারোশো বেশী টাকা আয় করতে যেমন পারছেন, তেমনি পুজো উদ্যোক্তারাও খরচ বাঁচাতে পারছেন। তাদের মোট দামের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ টাকা খরচ করলেই কাজ চলে যাচ্ছে।

ফলে ডাকের সাজ কেনার থেকে ভাড়ায় নেওয়ার প্রবনতা বাড়ছে।

তবে, যে সব জমিদারবাড়ী বা মন্দিরে বারো মাস দেবী দূর্গা পূজিত হন বা রাজবাড়ী,জমিদার বাড়ী সংস্কার মেনে নুতন ডাক সাজ ব্যবহারে কোন বদল আনতে আগ্রহী নন। এমন, উদ্যোক্তারা অবশ্য এখনও নুতন ডাকের সাজ বেশী দাম দিয়েও কিনছেন।

বারোয়ারী পূজে কমিটি গুলির সিংহভাগই বেছে নিচ্ছেন ভাড়ায় ডাকের সাজ সজ্জা নেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থাকে।

বারোয়ারী পূজে কমিটির কর্তাদের মত, ভাড়ায় নিলে পূজোর বাজেটে খরচ কমছে, তাই সেটা বেছে নেওয়াটাই বুদ্বিমানের কাজ। ভাড়ায় নিলে এক ধাক্কায় চার-পাঁচ হাজার টাকা বেঁচে যাওটা কম পাওয়া নয়। আর এমনিতেই কিনে নিলে তা পূজোর পর বিসর্জনের সময় জলেই চলে যায়। এক্ষেত্রে, সেটা হচ্ছে না। ডাকের সাজের রিসাইকেলিং হওয়ায় দুই পক্ষেরই লাভ। তাই এই নুতন ভাড়ায় ডাকের সাজ দেওয়ার ব্যবস্থা কে স্বাগত জানিয়েছেন পূজো কমিটির কর্মকর্তারাও।

#দেখুন ভিডিও। [embed]

Next Story