ব্রেকিং নিউজ

সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের শ্বশুরবাড়ির নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী।

সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের শ্বশুরবাড়ির নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের শ্বশুরবাড়ীর নিরাপত্তা রক্ষায় মঙ্গলবার থেকে মোতায়েন করা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র বাবুর শ্বশুর বাড়ী বড়জোড়ার কলেজ রোড এলাকায়। সৌমিত্র বাবুর দলবদলের ঠিক পরেই তার এই বড়জোড়ার শ্বশুরবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।এরপর সৌমিত্র বাবু দিল্লীতে স্বরাষ্ট্র দপ্তরে বিষয়টি জানান।ঘটনা নজরে আনেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতৃত্বেরও।

এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তর এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশজারি করে।

সেই মতো, এখানে একজন আধিকারিক সহ সাত জন সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়। দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় এই নিরাপত্তা বাহিনী পাহারার দায়িত্বে থাকছে বলে জানা গেছে।

সৌমিত্র বাবুর অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে।শ্বশুর বাড়ীতে হামলা পর্যন্ত করেছে তারা।শ্বশুর বাড়ীর লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। রাজ্য পুলিশের ওপরও ভরসা রাখা যাচ্ছিল না।

তাই, বিষয়টি সাংসদ হিসেবে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নজরে আনলে এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি,সৌমিত্র বাবু বিদ্যুৎ দপ্তরের বিরুদ্বেও ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, শ্বশুর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযেগ এখনও দেওয়া হয়নি।ফলে অন্ধকারেই তাদের রাত কাটছে।

তাদের অপরাধ বাড়ীর জামাই বিজেপি করে!

এই জন্যই শ্বশুরবাড়ির লেকেদের এমন শাস্তির বিধান দিয়েছে শাসক দল!এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও জানান তিনি। যদিও,বিদ্যুৎ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শীঘ্রই বিদ্যুৎ সংযেগ চালু করার চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে,স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন এসব লোকের সহানুভূতি কুড়ানের কৌশল।আর বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে, তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে নেমেছ।অথচ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মতো আদৈা কোনো পরিস্থিতি তৈরী হয়নি! তাছাড়া, তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো।তাদের সাথে কোনো রাজনৈতিক বাদ,বিতর্ক নেই। আমরাও চাই তাদের বৈদ্যুতিক গলোযোগ মিটিয়ে দপ্তর বৈদ্যুতিক লাইন চালু করে দিক।

সৌমিত্র বাবুর তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে অলোক বাবু বলেন, তৃণমুল নোংরা রাজনীতি করেনা।সৈমিত্র বাবুর মনে রাখা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় তিনি সাংসদ হয়েছিলেন।এখন মানুষ তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। তাই দিশেহারা হয়ে উল্টোপাল্টা বকছেন।

অন্যদিকে,জেলার রাজনৈতিক মহলে শাসক দল ও বিজেপির মধ্যে সৌমিত্র ইস্যুতে যে রাজণৈতিক তাপ-উত্তাপ তৈরী হয়েছে তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।এই কেচ্ছাকে এবার পুঁজি করে, লোকসভায় প্রচারে হাতিয়ার করবে বাম সহ অন্যন্য রাজনৈতিক দল গুলো তা বলায় বাহুল্য!

Next Story