মিড-ডে মিলের চালের বস্তা ঢাঁই করে রাখা ক্লাস রুমে,কোথাও পর্দার বিভাজন! প্রসাদপুর জুনিয়ার হাই স্কুলে এভাবেই চলছে পঠনপাঠন!
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন(উত্তম দে,জয়পুর) : একপাশে মিড -ডে মিলের বস্তা ঢাঁই করে রাখা আছে! আবার দুটো ক্লাসকে আলাদা করতে ঝোলানো হয়েছে ঢাউস কালো পলিথিন!কোনো রুমে আবার স্টোর রুম আর ক্লাস রুমের যেন পরগাছার মতো সহাবস্থান!এমন বেমানান ক্লাস রুমের ছবি রোজ দেখে,দেখে পড়ুয়া থেকে শিক্ষক, এমনকি অভিভাবকদেরও গা সওয়া হয়ে গেছে। সমস্যা মেটাতে, শিক্ষাদপ্তরে দরবার ও তদ্বির করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি! তাই, এভাবেই চলছে জেলার জয়পুর ব্লকের প্রাসাদপুর জুনিয়ার হাই স্কুল। ২০০৯ সালে এই জুনিয়ার স্কুল স্থাপন করা হয়।এই স্কুল স্থাপনের নেপথ্যে রয়েছে এখানকার প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর মূল্যায়নে জেলায় ভালো ফলাফল। জানা গেছে,স্কুলই প্রাথমিকে চৈতন্য পাল,ও নিরঞ্জন দে পরপর জেলায় চতুর্থ শ্রেণীর মূল্যায়নে প্রথম স্থান অর্জন করে। তার পরই গ্রামে জুনিয়ার স্কুল বা আপার প্রাইমারি তৈরীর জোরদার দাবী ওঠেসেই দাবী মেনে, বাম আমলে তৈরী হয় এই জুনিয়ার হাইস্কুলটি। বর্তমানে ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণীর চারটি ক্লাস করতে গিয়ে, সপ্তম শ্রেণীর ক্লাস পলিথিন দিয়ে পার্টিশন করে করতে হচ্ছে।
আবার পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার বেশী হলে গাদাগাদি করেই চলছে পঠন পাঠন। এই সমস্যা মেটাতে নুতন শ্রেণীকক্ষ তৈরী করা ছাড়া আর অন্যকোনো উপায় নেই।তাই, পড়ুয়া থেকে অভিভাবক এবং প্রধান শিক্ষক সকলেই অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ তৈরীর দাবীতে সরব হয়েছেন।এখন দেখার তাদের দাবী পূরণে কী ভূমিকা নেয় শিক্ষাদপ্তর।
#দেখুন 🎦ভিডিও👇
[embed]