শহর বাঁকুড়া

মিলেটে মিলবে পুষ্টি, সচেতনতা গড়তে মিলেট ফুড ফেস্ট শহরে।

এখন মেট্রো শহর গুলিতে পাঁচতারা হোটেলে মিলেটের নানা সুস্বাদু পদ পাওয়া যায়।তবে,বাঁকুড়া শহরে তা এখনও অধরা।বাঁকুড়াতেও রেস্টুরেন্ট,হোটেল ও টিফিন সেন্টার গুলিতে মিলেট জাত খাবারের প্রচলনের জন্য এবার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মিলেটে মিলবে পুষ্টি, সচেতনতা গড়তে মিলেট ফুড ফেস্ট শহরে।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : চলতি বছরটি অর্থাৎ ২০২৩ সালটিকে মিলেট বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে ভারত সরকারের খাদ্য দপ্তর। মিলেট একটি দানা শস্য যা বাজরা নামে বহুল পরিচিত আমাদের দেশে। এই শস্যের পুষ্টি গুণ যেমন রয়েছে তেমনি দামও কম। এছাড়া,মিলেটে গ্লুটেন থাকে না,প্রোটিন,ফাইবার,ও অ্যান্টি এক্সিডেন্টের আধার।কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ এই মিলেটে মিলবে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল। এমন একটি শস্যের ব্যাবহার এখনও সেইভাবে প্রচলিত নেই বাঁকুড়াতে। অথচ ডায়াবেটিক, কোলেস্টেরল, হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের এই মিলেট দারুণ উপকারি। এছাড়া বাড়ন্ত বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও মিলেট আদর্শ খাদ্য।

তাই,এই মিলেটের তৈরি খাবারের প্রতি মানুষের ঝোঁক বাড়াতে এবং এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে নেহেরু যুব কেন্দ্র এবং সুইচঅন ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বাঁকুড়া শহরের বঙ্গ বিদ্যালয় সভাকক্ষে মিলেট ফুড ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এই ফেস্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নিলাদ্রি শেখর দানা। মিলেটজাত নানা খাবারের পদ এখানে ছিল থরে,থরে সাজানো।মিলেটের খই থেকে শুরু করে মিলেটের লাড্ডু,মিলেটের সন্দেশ সহ নানা রেসিপির খাদ্য সম্ভার ছিল এই মেলায়।বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে মিলেটের খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয় হয়।


মিলেটজাত খাবারের প্রচলন এবং মিলেট চাষে জেলার চাষীদের উৎসাহী করে তোলার জন্যই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান নেহেরু যুব কেন্দ্রের যুব আধিকারিক অন্বেষা ভট্টাচার্য। এদিন মিলেট থেকে খুব সহজে বানানো যায় এমন কিছু রেসিপি শেয়ার করেন বিশেষজ্ঞরা।এমনি মিলেটের নানা সুস্বাদু খাবার এদিন স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বিতরণও করা হয়। দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার বলেন, মিলেটে থেকে তৈরি খাবারের সাথে আমাদের এভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া এবং মিলেটের পুষ্টি গুণ তুলে ধরার যে প্রয়াস উদ্যোক্তার নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে।


তিনি আরও বলেন, মিলেট থেকে এত রকমের সুস্বাদু খাবার বানানো যায় যে,সেগুলি বাচ্চাদের প্লেটে তুলে দিতে পারলে তাদের ক্ষতিকর ফাস্ট ফুডের ওপর মোহ কেটে যাবে। বিশেষ করে মায়েদের তিনি এই মিলেট দিয়ে নতুন,নতুন পদ বানানোর আহবানও জানান। এখন মেট্রো শহর গুলিতে পাঁচতারা হোটেলে মিলেটের নানা সুস্বাদু পদ পাওয়া যায়। তাই এবার বাঁকুড়াতেও রেস্টুরেন্ট,হোটেল ও টিফিন সেন্টার গুলিতে মিলেট জাত খাবারের প্রচলনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেবার প্রস্তাব ওঠে খাদ্য মেলায়। এজন্য পরবর্তী সময় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া কথ ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।



Next Story