শালতোড়ায় ২৮ শে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা, এলাকার মানুষ সেচের জল,আর স্টেডিয়ামের দাবী মেটানোর আর্জি জানাতে চান মুখ্যমন্ত্রীকে, ওই দিন বিকেলে রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর পাখির চোখ জঙ্গল মহলের উন্নয়ন।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় শালতোড়ার চাষীরা মুখিয়ে আছেন জল সেচের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাতে। আর শালতোড়ার ক্রীড়া প্রেমীদের আশা এখানে এবার স্টেডিয়াম তৈরীর দাবী মিটবে?
আগামী ২৮ নভেম্বর শালতোড়ার নেতাজী সেন্টিনারি কলেজ
গ্রাউন্ডে প্রশাসনিক সভায় একগুচ্ছ প্রকল্পের শিল্যানাস,উদ্বোধন ও পরিসেবা প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি, বক্তব্যও রাখবেন তিনি।
সেখানে জেলার রুখা,শুখা প্রান্তিক ব্লক শালতোড়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কী উপহার ঘোষনা করেন সেই দিকে তাকিয়ে আছেন এলাকার মানুষ।তবে, এখানকার এখনও সমস্যা পানীয় জল ও সেচের জলের। এক সময় বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাংলা রূপকার বিধান চন্দ্র রায় শালতোড়ার জল সঙ্কট মেটাতে বিশাল ইঁন্দারা (বড়ো কুয়া) খনন করেছিলেন। সেই ইঁন্দারা এখনও ভরা গ্রীষ্মে শালতোড়ার তেষ্টা মেটাতে কাজে আসে।
এবার, বাংলার আর এক রূপকার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শালতোড়ার সেচের সমস্যা দুর করুন এমনটাই চাইছেন এখানকার বাসিন্দারা।
এবছর বৃষ্টি কম হওয়ায় জেলার এই ব্লকেও ধান চাষে ব্যাপক মার খেয়েছেন চাষীরা।
সারা জেলার প্রায় পনেরো হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। জেলার ৯টি ব্লকের বহু মৌজায় আমন ধান চাষে ক্ষতিগ্রস্তব হয়েছেন চাষীরা ।
জেলা কৃষি দপ্তর নবান্নে এই পরিস্থিতির রিপোর্টও পাঠিয়ে রেখেছে। তাই, জেলায় এসে এই ৯টি ব্লকের চাষীদের জন্য কিছু বিশেষ ঘোষনা মুখ্যমন্ত্রী করেন কিনা সেদিকেও তাকিয়ে আছেন আমন চাষে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরাও।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, ২৮ তারিখ পুরুলিয়ার কর্মসূচী সেরে বাঁকুড়ায় আসবেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুপুর দেড়টা নাগাদ শালতোড়ার নেতাজী সেন্টিনারি কলেজ গ্রাউন্ডে প্রশাসনিক সভা করবেন। তারপর সভা শেষে তিনি ফিরে আসবেন সার্কিট হাউসে। সেখানে বিশ্রামের পর বিকেল চারটে নাগাদ শহরের রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।
জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে জঙ্গল মহলে উন্নয়নে আরও জোর দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ জেলার জঙ্গল মহলেই এবার পঞ্চায়েতে শাসক দলকে বেগ দিয়েছে বিজেপি।