শেওড়াফুলির করোনা আক্রান্তের বড়জোড়া যোগ,আতঙ্ক শিল্পাঞ্চলে!কাদের সাথে সংস্পর্শ, তালিকা বানাচ্ছে প্রশাসন।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : করোনা আক্রান্ত শেওড়াফুলির বাসিন্দা বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ঘুটগেড়িয়াতে একটি লৌহ ইস্পাত কারখানায় এসেছিলেন ১৩ ই মার্চ। ওই দিনই তিনি ট্রেনে চড়ে কলকাতা থেকে দূর্গাপুরের সগড়ভাঙ্গায় একটি লৌহ ইস্পাত কারখানায় আসেন। সেখানে কাজ সেরে চলে যান বড়জোড়ায়। তার ট্রাভেল হিস্ট্রি ফাঁস হতেই বড়জোড়ার ওই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে। পাশাপাশি, ঘুটগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা দাবী তুলেছেন,অবিলম্বে এই কারখানার যারা সেদিন নিবিড় সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের মেডিকেল পরীক্ষা করা হোক এবং কোয়ারেন্টাইনে রাখা হোক। নইলে হু,হু করে বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল জুড়া করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। জানাগেছে, এই কারখানায় স্থায়ী,অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন কর্মী কাজ করেন। সেই দিন তাদের মধ্যে যারা,যারা করোনা অক্রান্ত ব্যাক্তির নিবিড় সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। আর এই সংখ্যাটায় ভাবাচ্ছে জেলার শিল্পাঞ্চলের মানুষদের। তবে, সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের মেডিকেল পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনে রেখে সংক্রমণ কি ভাবে ঠেকানো যায় তার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বড়জোড়ার বিডিও ভাষ্কর রায় জানান,ইতিমধ্যেই ওই কারখানার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং ওই দিন যারা, যারা ওনার নিবিড় সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তালিকা এলেই প্রয়োজনীয় ব্যবাস্থা নেবে প্রশাসন।
জানাগেছে, ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ১৩ মার্চ বড়জোড়া থেকে দূর্ঘাপুর ফিরে গিয়ে হোটেলে রাত কাটান। ১৪ই মার্চ ট্রেনে করে কলকাতা ফেরেন। এরপর কলকাতায় ১৭ই মার্চ তার জ্বর হলেও ওই অবস্থাতেই কলকাতাই অফিস যাতায়াত করেন। এরপর ২৮ তারিখে করোনা উপসর্গ নিয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হলে তার লালারসের নমুনায় কোভিড -১৯ ভাইরাস পজেটিভ ধরা পড়ে। এখন ওই ৫৯ বছরের প্রৌঢ় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশাপাশি তার আত্মীয়রাও হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গেছে। এবার এই ব্যক্তির সাথে নিবিড় সংস্পর্শে যোগে জেলার বড়জোড়ায় করোনা থাবা বসায় কিনা? তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার শিল্পাঞ্চলে।