কোভিড কড়চা

ওন্দা কোভিড হাসপাতালের সব সিসিইউ বেড ভর্তি,গত ৬ দিনে মৃত্যু ৫ কোভিড রোগীর।

ওন্দা কোভিড হাসপাতালের সব সিসিইউ বেড ভর্তি,গত ৬ দিনে মৃত্যু ৫ কোভিড রোগীর।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ডাবল মিউটেড কোভিড ভাইরাস এবার জেলাতেও মারাত্মক আকার নিতে চলেছে। জেলার ওন্দা কোভিড হাসপাতালে গত ৬ দিনে মারা গেছেন ৫ জন কোভিড রোগী। ১৭ এপ্রিল ঘটেছে জোড়া মৃত্যু। ১৫ এপ্রিল মারা গেছেন এক ২৭ বছরের মহিলা। এবং ১২ এপ্রিল মারা গেছেন ৭৪ বছরের এক বৃদ্ধ। মৃতদের মধ্যে জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়ার পুঞ্চার এক ৩৮ বছরের যুবকের মৃত্যু হয়েছে।


আর এক ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা ওন্দা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তারও মৃত্য হয়েছে বলে ওন্দা কোভিড হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে। যদিও,স্বাস্থ্য দপ্তরের কোভিড বুলেটিনে কোন মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ নেই। ১৮ তারিখের কোভিড বুলেটিনে মৃতের সংখ্যা ৯২ -ই দেখানো হয়েছে। তবে,এই বুলেটিনে ১৭ তারিখ জেলায় ১০৫ জন নুতন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। আর ওই দিনে সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৪১ জন।

এদিকে,রাজ্যের কোভিড বুলেটিনে মৃতের সংখ্যা উল্লেখ না থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে। তবে,স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, মৃতরা কোথাকার প্রকৃত বাসিন্দা, কোনো কো মর্বিডিটি ছিল কিনা?এসব স্ক্রিনিং কমিটি দেখে তার পর বুলেটিনে উল্লেখ করে। সেক্ষেত্রে আপডেট করতে দু,একদিনের হেরফের অনেক সময় হতে পারে।


অন্যদিকে, জেলা জুড়ে আম জনতার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে পথে নেমেছে জেলা পুলিশও। ছাতনা সহ বিভিন্ন এলাকায় পথ প্রচার করে মাস্ক না পরলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হচ্ছে।পাশাপাশি,কোভিডের দ্বিতীয় ঢেওয়ের মোকাবিলায় বাঁকুড়া শহর জুড়ে বাজার,জন বহুল এলাকায় স্যানিটাইজেশন শুরু হয়েছে। এখন টানা এই কাজ চলবে। ঘুরিয়ে,ফিরিয়ে এক,একদিন এক,একটা এলাকায় এই কাজ চলবে বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দিলীপ আগরওয়াল।

অন্যদিকে,জেলার পুর শহর গুলিতেও বাড়ছে সংক্রমণ। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, সোনামুখী এই তিন পুর শহরেও গড়ে ১০থেকে ১৫ জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর। মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন অনেকেই বাড়ীতে থেকে চিকিৎসা করাচ্ছেন। বাকীরা ওন্দা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ওন্দার কোভিড হাসপাতালে ৮ টি সিসিইউ বেড সব ভর্তি হয়ে গেলেও ২৫০ জেনারেল বেডের এখন ১২০ এরও বেশী বেড খালি রয়েছে।


ওন্দায় বাঁকুড়া ছাড়া পুরুলিয়া জেলা থেকে রেফার হওয়া রোগীও আসছে ভালো সংখ্যায় বলে জানাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে, ভর্তি হওয়া রোগীর তিন ভাগের একভাগকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। বাকী সিংহভাগের জেনারেল বেডেই চিকিৎসা চলছে। তাই জেলায় কোভিড চিকিৎসা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে এমনটা নয়। এবং মৃত্যুর হার সেই অর্থে নগন্য বলেই দাবী করছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।

তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতার সাথে কোভিড মোকাবিলা করতে আম জনতাকে মাস্ককে হাতিয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇



Next Story