কোভিড কড়চা

কোভিড আক্রান্ত হয়ে মত্যু জেলার কোভিড মনিটারিং সেলের কো- অর্ডিনেটর ডাঃ অশোক চট্টোপাধ্যায়ের।

কোভিড আক্রান্ত হয়ে মত্যু জেলার কোভিড মনিটারিং সেলের কো- অর্ডিনেটর ডাঃ অশোক চট্টোপাধ্যায়ের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : কোভিড কেড়ে নিল জেলার আরও এক চিকিৎসকের প্রাণ। এবার, কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্য কোভিড মনিটারিং সেলের বাঁকুড়া জেলার কো - অর্ডিনেটর তথা আইএমএ- র বাঁকুড়া শাখার সম্পাদক চিকিৎসক আশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়। আজ সকালে মারা যান জেলার এই বিশিষ্ট চিকিৎসক।


ওন্দায় পৈত্রিক বাড়ী হলেও তিনি বাঁকুড়ায় নিজের বাসভবনেই কোভিড পজেটিভ হওয়ার পর হোম আইসোলেশনে ছিলেন।চিকিৎসাও চলছিল বাড়ীতে। কিন্তু, বুধবার ভোরে বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় আশোক বাবুর আইএমএ সুত্রে এমনটাই জানা গেছে।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। এই চিকিৎসকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, আইএমএ-র রাজ্য সভাপতি সন্তোষ কুমার মন্ডল। তিনি বলেন, অন্তরঙ্গ এক বন্ধুকে হারালাম, মঙ্গলবারও ফোনে কথা হয়, আর আজকে মানুষটাই নেই! ভাবা যায় না। তাঁর এই মৃত্যুতে গোটা,চিকিৎসক মহল শোকাহত। শোক প্রকাশ করেন, সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস।


তিনি বলেন, বাঁকুড়া একজন ভালো চিকিৎসকে হারাল। আশোক বাবু নানা চিকিৎসা সংক্রান্ত সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। কোভিড পরিস্থিতিতেও মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে গেছেন তিনি।তার মৃত্যুতে ফোরাম গভীর শোক প্রকাশ করছে।

ওন্দার ভুমিপুত্র অশোক বাবু বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজেই ডাক্তারি পড়েন। সেই সুত্রে এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন তিনি।পাশাপাশি,পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোভিড মনিটরিং সেলের বাঁকুড়া জেলার কো অর্ডিনেটর ছিলেন আশোক বাবু।ছিলেন টেলি মেডিসিন বোর্ডের সদস্যও। ছিলেনবাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য। এছাড়া, সেন্ট জন্স এম্বুল্যান্স-র বাঁকুড়া জেলা শাখার সাম্মানিক সম্পাদকও ছিলেন তিনি।


জন্ম সুত্রেবাড়ি ওন্দায়।তবে, বাঁকুড়ার বাড়িতেই থাকতেন তিনিএকসময় বাঁকুড়া জেলাপরিষদের চিকিৎসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন আশোক বাবু। অবসর গ্রহণ করেন বছর কয়েক আগে।তবে নিজের জন্ম স্থান ওন্দায় প্র‍্যাকটিস করতেন তিনি।ওন্দা ও বাঁকুড়া দুই জায়গায় নাম মাত্র ভিজিটে রোগী দেখতেন। মানুষের সেবাই ছিল তাঁর মূল ধর্ম।

সকলের খুব প্রিয় ছিলেন এই সদাহাস্য অশোক বাবু। তার প্রয়াণে জেলার চিকিৎসক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Next Story