কোভিড কড়চা

বাঁকুড়ায় চার দিনে কোভিডে মৃত ১০,আক্রান্ত ১৫১৪ জন।

মে মাসের প্রথম চারদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। এবং এই চার দিনে নুতন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৫১৪ জন। ১ লা মে থেকে ৪ঠা মে এই চারদিনে জেলায় কোভিডের দাপট গত মাসের প্রথম চারদিনের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২ রা মে একদিনে জেলায় ৬ জন কোভিড রোগী মারা গেছেন। আর ১ লা মে মারা গেছেন একদিনে ৩ রোগী। এবং ৩ রা মে আরও এক কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়।

বাঁকুড়ায় চার দিনে কোভিডে মৃত ১০,আক্রান্ত ১৫১৪ জন।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এই মাসের শুরুতেই বাঁকুড়ায় ভয়ানক আকার নিতে চলেছে কোভিড ভাইরাস। ডাবল মিউটেড কোভিড ভাইরাসের কবলে পড়ে মে মাসের প্রথম চারদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। এবং এই চার দিনে নুতন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৫১৪ জন। ১ লা মে থেকে ৪ঠা মে এই চারদিনে জেলায় কোভিডের দাপট গত মাসের প্রথম চারদিনের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।


২ রা মে একদিনে জেলায় ৬ জন কোভিড রোগী মারা গেছেন। আর ১ লা মে মারা গেছেন একদিনে ৩ কোভিড রোগী। এবং ৩ রা মে আরও এক কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আর সারা জেলায় এপর্যন্ত মোট কোভিড রোগী মারা,গেছেন ১১৬ জন। এই হিসেব স্বাস্থ্য দপ্তরের কোভিড বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাশাপাশি, জেলায় মোট কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭,৩২৪ জন। আর মোট সেরে ওঠার সংখ্যা ১৪,৭৯৬ জন। আর এই মুহূর্তে জেলায় মোট সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২৩৩৭ জন বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানা গেছে। তবে,জেলায় প্রকৃত কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশী বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ অনেকেই কোভিড উপসর্গ নিয়ে বাড়ীতে চিকিৎসা চালালেও তারা কোভিড পরীক্ষা করাচ্ছেন না।


আবার, ভালো সংখ্যক কোভিড উপসর্গ আছে এমন লোকজন কোভিড পরীক্ষার নমুনা জমা দিলেও তারা রিপোর্ট হাতে পাচ্ছেন না। অনেক রোগীর মোবাইলে এসএমএস আসছে দ্বিতীয় বার নমুনা জমা দেয়াওয়ার জন্য। কিন্তু ওই এসএমএস আসার ফাঁকেই ৮ -১০ দিন পার হয়ে যাওয়ায় রোগীর উপসর্গ সেরে যাচ্ছে, এবং তখন তারা আর দ্বিতীয়বার নমুনা জমা দিচ্ছেন না।

আবার কোভিড উপসর্গ থাকলেও অনেকের ফল নেগেটিভ আসছে। এসব ঘটনার নিরিখে জেলার চিকিৎসক মহলের ধারনা কোভিড বুলেটিনে যে সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছে জেলায় তার থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেশী হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। গত চার দিনে জেলায় সবথেকে বেশি ৪৪১ জন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ৩রা মে। আর ১ লা মে একদিনে নুতন করে কোভিড আক্রান্ত হন ৪০৪ জন। এছাড়া,২ মে ৩৬০ জন ও ৪ঠা মে ৩২৪ জন নুতন করে আক্রান্ত হয়েছেন।


এই চারদিনে জেলায় মোট কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১৫১৪ জন।তাই বাঁকুড়াবাসীর কাছে অনুরোধ রাজ্য সরকারের আংশিক লকডাউন মেনে চলুন। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ীর বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন। আর বের হলেও মাস্ক মাস্ট।

এবং সবসময় বজায় রাখুন একে অপরের থেকে অন্তত ছয় ফুটের শারিরীক দুরত্ব।পাশাপাশি,জ্বর,কাশি,গলা ব্যাথা,গন্ধ ও স্বাদ টের না পাওয়া, বুকে চাপাভাব,ডাইরিয়া,শ্বাসকষ্ট এমন উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এবং মৃদু বা মাঝারি কোভিড উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়ীতে থেকে বা সেফ হাউসে থাকতে পারেন। অতিিরিক্ত শ্বাসকষ্ট, অক্সিজেন লেভেল ৯৩ এর নীচে নেমে গেলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। মৃদু উপসর্গে বাড়ীতেই অনেকে সেরে উঠছেন।তাই সব ক্ষেত্রেই অযথা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য ছোটাছুটি না করে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়ীতে থেকেও কোভিড কে জয় করতে পারবেন। তবে শারিরীক অবস্থার কোন রকম অবনতি হলে হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করতেই হবে।

কোভিড আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হবেন না উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎক,বা নিকটবর্রতী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান৷ এবং চিকিৎসকের উপদেশ মতো বাকী ধাপ গুলি পালন করুন। আর বাড়ির কোন সদস্যের উপসর্গ দেখা দিলে তাকে আলাদা রাখা,বাড়ীর সকলে মাস্ক পরা এবং উপসর্গ যুক্ত সদস্যকে পৃথক ভাবে ঘর বন্দি করে রাখুন। এতে কোভিড ছড়ানোর ঝুঁকি এড়ানো যাবে।



Next Story