কোভিড কড়চা

এবার মরনাপন্ন কোভিড রোগীদের বাঁচাতে প্লাজমা থেরাপির সুযোগ জেলায়,বাঁকুড়া মেডিকেলে শুরু প্লাজমা সংগ্রহের কাজ।

কলকাতার পরে প্রথম জেলার হাসপাতাল হিসেবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরনাপন্ন কোভিড রোগীদের বাঁচাতে প্লাজমা থেরাপি চালু হতে চলেছে। এই জন্য আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে কোভিড কনভ্যালেশেন্ট প্লাজমা দানের কর্মসুচীর সূচনা হল। এদিন যে সমস্ত রোগী ২৮ দিন আগে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, তারা এই অনুষ্ঠানে প্লাজমা দান করেন। আজ মেডিকেল চত্বরে এই প্লাজমা সংগ্রহের কাজ শুরু হলেও পরবর্তী কালে ভ্রাম্যমাণ বিশেষ বাস জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে কোভিড থেকে সেরে ওঠা রোগীদের প্লাজমা সংগ্রহ করবে বলে জানান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান।

এবার মরনাপন্ন কোভিড রোগীদের বাঁচাতে প্লাজমা থেরাপির সুযোগ  জেলায়,বাঁকুড়া মেডিকেলে শুরু প্লাজমা সংগ্রহের কাজ।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : কোভিড চিকিৎসায় এবার জেলাতেও মিলবে প্লাজমা থেরাপির সুযোগ। তার প্রথম ধাপ হিসেবে আজ সেরে ওঠা কোভিড রোগীরা প্লাজমা দান করলেন। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কলকাতার পর এই পরিষেবা মিলবে। যা,জেলার হাসপাতাল গুলোর নিরিখে প্রথম। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে এবং আইসিএমআরের গাইড লাইন মেনে আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে প্লাজমা সংগ্রহ শুরু হল। মূলত কোভিড থেকে ২৮ দিন আগে সেরে উঠেছেন এমন ব্যাক্তির রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হল এদিন। এই প্লাজমা মরনাপন্ন কোভিড রোগীর শরীরে প্রবেশ করালে এন্টিবডি তৈরি হয়ে ওই রোগীকে বাঁচানো যাবে। এটাই প্লাজমা থেরাপির থিওরি। জানা যাচ্ছে, একজন কোভিড আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করতে মোটামুটি ২০০ থেক্র ২৫০ মিলিলিটার প্লাজমার প্রয়োজন পড়ে। সেই অর্থে এক জন ব্যক্তির সংগ্রহ করা প্লাজমার নমুনা থেকে চার থেকে পাঁচ জন রোগীকে বাঁচানো যেতে পারে।

তাই কোভিড থেকে সেরে ওঠা রোগীর রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহের হার না বাড়ালে প্রকৃত ক্ষেত্রে চিকিৎসার কাজে আসবে না। সেই জন্য আজ প্রাথমিক ভাবে মেডিকেল চত্বরে এই প্লাজমা দানের সূচনা হলেও পরে প্লাজমা দানের ক্যাম্প জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থপ্রতিম প্রধান জানান, ভ্রাম্যমাণ বিশেষ বাস এলাকায়,এলাকায় পৌঁছে প্লাজমা দানের শিবিরের আয়োজন করবে। আর এই দানে কোভিড থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা যত এগিয়ে আসবেন তত বেশী,বেশী প্লাজমা ব্যাঙ্কে জমা হবে। এবং তা মরনাপ্নন রোগীদের জীবন বাঁচাবে।

কোভিড ভ্যাক্সিন এখনও অধরা। এদিকে দিন,দিন জেলায় বাড়ছে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও। এই অবস্থায় প্লাজমা থেরাপি জেলায় কোভিড রোগীর মৃত্যু ঠেকাতে যে বিশেষ কার্যকরী হবে তা বলাই বাহুল্য।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇


Next Story