প্রধান- উপ প্রধানে নেই বনিবনা! শিকেই পঞ্চায়েতর কাজ!শবক শেখাতে পঞ্চায়েত অফিস থেকে স্টাফ উইথড্র করার সিদ্ধান্ত জেলাশাসকের।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : নিজেদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় পঞ্চায়েতের প্রধান,উপপ্রধান থেকে সদস্যরা পা মাড়ান না পঞ্চায়েত দপ্তরে! ফলে মেজিয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শিকেয় উঠেছে কাজ কর্ম! একশো দিনের কাজ থেকে উন্নয়নের কাজ থমকে গেছে! এই অবস্থায় বারে,বারে বলেও হাল ফেরেনি রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। তাই বাধ্য হয়ে এই পঞ্চায়েত অফিস থেকে সব কর্মীদের মেজিয়া ব্লক অফিসে তুলে দিয়ে পঞ্চায়েতের কর্তাদের শবক শেখাতে চেয়েছেন জেলাশাসক উমা শঙ্কর এস। ফলে এখন থেকে বিডিও অফিস থেকেই গ্রামের মানুষ যাবতীয় পরিষেবা পাবেন। মিলবে বিভিন্ন শংসাপত্রও। তা বিডিও ইস্যু করবেন। জেলা শাসক জানান, ফের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর পঞ্চায়েত অফিসকে তাদের কর্মী ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে, জেলার সরকারী কর্মী মহলেও এই ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। জেলাশাসক উমা শঙ্কর এস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত থেকে স্টাফ উইথড্র করে ব্লকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে মানুষের কথা ভেবে। স্থানীয় গরীব মানুষেরা একশো দিনের কাজ পাচ্ছেন না। গত বছর যেখানে একশো দিনের কাজে,মোট শ্রম দিবস ছিল ৯৬ হাজার, ৫০০ দিন। সেখানে এবার তা ১৮ হাজার ৩৬৬ শ্রম দিবসেই থমকে গেছে! এছাড়া জুলাই মাস থেকে ১৩ আসনের এই পঞ্চায়েতের জেনারেল বডির মিটিং পর্যন্ত হয়নি! ফলে ১কোটি ৬ লক্ষ টাকার ফান্ড থাকলেও টেন্ডার ডাকা হয়নি। তাই থমকে আছে উন্নয়নের কাজও। এখন দেখার শেষ অবধি জেলাশাসকের এই সিদ্ধান্তে রামচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধান,উপপ্রধানের টনক নড়ে কিনা!
দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]