ব্রেকিং নিউজ

ফিতে হাতে আমিনের ভূমিকায় জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস ! কেন, এমনটা করলেন তিনি ? জানতে পড়ুন এই প্রতিবেদন।

ফিতে হাতে আমিনের ভূমিকায় জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস ! কেন, এমনটা করলেন তিনি ? জানতে পড়ুন এই প্রতিবেদন।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : সহমর্মী প্রকল্পের সুফল মিলল। ৩০ বছর আগে পাট্টা পাওয়া জমির অধিকার ফিরে পেলেন ছাতনা ব্লকের বক্সীবাঁধ গ্রামের ৬টি আদিবাসী পরিবার। আজ থেকে তিন দশক আগে ১৯৮৯ সালে এই পরিবার গুলো জমির পাট্টা পেলেও জমি চিহ্নিত না করায় জমি ভোগ-দখলের অধিকার থেকে বাঞ্ছিত থেকে গিয়েছিলেন।

কয়েকদিন আগে সহমর্মী প্রকল্পে এই গ্রামে জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস গিয়েছিলেন,তখনই গ্রামের এই ৬পরিবার তাদের সমস্যার কথা বলেন। আজ এসডিও,বিডিও,ব্লক ভূমিসংস্কার আধিকারিকদের সাথে নিয়ে জেলাশাসক গ্রামে গিয়ে ৩ একর৫৩ ডেসিমেল জমি চিহ্নিত করে তাদের হাতে পাট্টার অধিকার তুলে দিলেন। পাশাপাশি,এখানকার আরও ৭ টি পরিবারকেও শীঘ্রই জমির পাট্টা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ৩০ বছর ধরে যে সমস্যা মেটেনি তা কয়েকদিনে এভাবে মিটে যাবে এমনটা ভাবেননি গ্রামের সহদেব মূর্মু, সাহেব মুর্মুরা! আজ খোদ জেলা শাসক গ্রামে এসে নিজে হাতে ফিতে ধরে জমি চিহ্নত করে দেওয়াতে বেজায় খুশী তারা।

প্রসঙ্গত, শালতোড়ায় প্রশাসনিক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,আদিসীদের জমির অধিকার দেওয়ার সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।

অথচ, এই জেলাতেই ৩০ বছর আগে পাট্টা পেয়েও জমির অধিকার থেকে বাঞ্ছিতই রয়ে গিয়েছিলেন এই পরিবারগুলি।

এই ঘটনা আগে বাম শাসিত রাজ্য সরকারের পাশাপাশি, বর্তমান সরকারেরও প্রশাসনিক গাফিলতির বড়ো নিদর্শনের সাক্ষ্য বয়ে নিয়ে আসছিল।

অবশেষে, এই পাট্টা জমির জট ছাড়িয়ে নজীর গড়লেন জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস।

তিনি নিজেও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কর্ম সংস্কৃতির রীতি মেনেই জেলা প্রশাসন এভাবেই আম জনতার সমস্যা মেটাতে গ্রামে,গঞ্জে পাড়ি দিয়ে সহমর্মিতার বার্তা দেবেন।

#দেখুন ভিডিও।[embed]

Next Story