গরীব কৃষক পরিবারে জন্ম হলেও, গ্রামের মধ্যে প্রথম ডাক্তার হন তিনি। পরিবারে প্রথম ৫ ম শ্রেণীর গন্ডী পার হওয়ার নজীরও গড়েন। জীবনের এমন নানা কাহিনী শেয়ার করে, পড়ুয়াদের বড়ো হওয়ার পাঠ দিলেন জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বাবা ছিলেন গরীব চাষী! পরিবারে তিনিই প্রথম প্রাথমিক স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে উঠেছিলেন!
আর, তার পর থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তিনি পরিবারের মধ্যেতো বটেই, গ্রামের মধ্যেও প্রথম এম,বি,বিএস পড়ে ডাক্তার হওয়ার নজীর গড়েছেন। তার পর আই,এ,এস হয়ে একেবারে ডি, এম!
হ্যাঁ, বাঁকুড়ার জেলা শাসক উমাশঙ্কর এসের জীবনে এমনটাই ঘটেছে! তার,ফেলে আসা জীবনের শৈশব থেকে কৈশোর পেরিয়ে বড়ো হওয়ার কাহিনী শেয়ার করে স্কুলের ছাত্র,ছাত্রীদের জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পাঠ দিলেন উমাশঙ্কর এস।
তিনি পড়ুয়াদের বলেন, বাবা চাষী,বা গরীব এমনটা ভেবে মন খারাপ করা চলবে না।আর বাংলা মিডিয়ামে পড়ে, জীবনে বড়ো হতে পারবে না, এমনটাও ভাবা চলবে না।তিনি নিজে তামিল ভাষায় পড়াশোনা করেছেন। এখানকার বাংলা মিডিয়ামে যেমন দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরাজী থাকে, তামিলনাড়ুতেও তাই।
তবে, এতে ডাক্তারী পড়তে বা ডি,এম হতে কোনো অসুবিধে হয় নি। আসলে ভাষা,বা গ্রাম, শহর এগুলো বড়ো বিষয় নয়।,মন দিয়ে পড়লেই এগিয়ে যাওয়া যায়।
এভাবেই জীবনে এগিয়ে যাওয়ার টিপস দিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের মন জয় করে নেন জেলা শাসক উমা শঙ্কর এস।
এখন ভোটার তালিকায় নাম তোলার বিশেষ কর্মসূচী চলছে জেলা জুড়ে। শনিবার ছিল এই কর্মসূচীর বিশেষ দিন। জেলার ইন্দাস ব্লকে এই কর্মসূচী পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার ছোটে গোবিন্দ পুর এস,এন,পাঁজা হাই স্কুলের নির্বাচনী সাক্ষরতা ক্লাবের পড়ুয়াদের, নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় যোগ দেন জেলা শাসক।
স্কুলের দেওয়াল পত্রিকা অঞ্জলীর উদ্বোধনও করেন তিনি।
তারই ফাঁকে একান্ত আলাপচারিতার পরিবেশে, পড়ুয়াদের জীবনে সাফল্য লাভের টোটকা দিতে গিয়ে তিনি তার ছাত্র জীবনে কাহিনী উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।
জেলা শাসকের জীবন সংগ্রাম সত্যি জেলার নুতন প্রজন্মকে প্রেরণা জোগাবে। পাশাপাশি, জেলার ছাত্র ছাত্রীরা অনুপ্রাণিতও হবে। বাঁকুড়া২৪X৭ এর পক্ষ থেকেও কূর্ণিশ রইল জেলা শাসকের প্রতি।
#দেখুন ভিডিও।[embed]