ডাক্তার গর হাজির, বদলে চিকিৎসা করছেন গ্রুপ ডি কর্মী ! তালডাংরা গ্রামীণ হাসপাতালে হানা দিয়ে, ধরে ফেললেন জেলাশাসক।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : হাসপাতালের আউটডোরের হ্যোমিওপ্যাথি ক্লিনিকে গর হাজির চিকিৎসক!
তার বদলে চেয়ারে বসে দিব্যি রোগী দেখছেন এক চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী! এবং রোগীদের ওষুধও দিচ্ছেন তিনি!
বৃহস্পতিবার, বাঁকুড়ার তালডাংরা গ্রামীন হাসপাতালে আচমকা হানা দিয়ে, এমনই উলট পূরাণের সাক্ষী হতে হল খোদ জেলাশাসককে।
এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি ওই চতুর্থ শ্রেনীর কর্মীকে আউটডোর থেকে ইনডোরে সরিয়ে কার্যত দায় এড়ানোর চেষ্টা চালান হাসপাতালের বি এম ও এইচ।
তবে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে যে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জেলা শাসক উমাশঙ্কর এস।
এদিন সকালে, আচমকাই তালডাংরা গ্রামীন হাসপাতাল পরিদর্শনে যান জেলাশাসক ডাঃ উমাশঙ্কর এস।
সেই সময়, তার সাথে ছিলেন, তালডাংরার বিডিও সৌরভ মজুমদার এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুসুয়া রায়ও।
হাসপাতালে এসে জেলা শাসক উপস্থিত হলেও, তখনও উপস্থিত হননি হাসপাতালের এক্স-রে ও ই সি জি টেকনিশিয়ানরা।এমনকি , বিএমওএইচ অর্চনা কুন্ডুও এদিন দেরিতে ঢোকেন!তাও নজরে পড়ে জেলাশাসকের।
যদিও, অর্চনা দেবীর দাবী, তিনি একটি সাব সেন্টার ভিজিটে যাচ্ছিলেন। জেলাশাসকের আসার খবর পেয়ে, ফিরে আসেন তিনি। তাই, পৌঁছতে দেরী হয়।
জেলাশাসক এদিন রোগী ও তাদের আত্মীয়দের সাথেও কথা বলে,সমস্যার কথা শোনেন।
তিনি জানান, কর্মী থেকে চিকিৎসক কারও কাজে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবেনা। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, তালডাংরা গ্রামীন হাসোতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো ও প্যাথোলজি বিভাগে কিছু আধুনিক মেসিনপত্রও কেনা হবে বলে জানান তিনি।
তালডাংরাবাসীদের দাবী এমন হানা নিয়মিত হলে হাল ফিরবে হাসপাতালের। তাই এমন আচমকা হানার জন্য জেলাশাসক কে অনুরোধও করেছেন তারা।
#দেখুন ভিডিও।
[embed]