জঙ্গলমহল খাতড়া

আসল বিডিও'র চেম্বারে বসে নিজেকে বিডিও বলে জাহির করতেই পর্দাফাঁস! পুলিশের জালে ভূয়ো বিডিও।

আসল বিডিওর চেম্বারে বসে নিজেকে বিডিও বলে জাহির করতেই পর্দাফাঁস! পুলিশের জালে ভূয়ো বিডিও।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : আসল বিডিওর সামনে বসেও 'ভুয়ো বিডিও'- নিজেকে বিডিও হিসেবে পরিচয় দিতেই পর্দা ফাঁস! ধরা পড়ে যাওয়ায় সাথে,সাথে কনোজ সরকার নামে পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক ওই প্রতারক কে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনাটি ঘটে খোদ রাণীবাঁধ বিডিওর চেম্বারে! সেই সময় বিডিওর চেম্বারে কালীপূজোর প্রশাসনিক বিষয়ে আলোচনা সারছিলেন রানীবাঁধের আই,সি উত্তম দেবনাথও। জানা গেছে, সেই সময় স্থানীয় এক লজের ম্যানেজার বিডিও শুভদীপ পালিতের কাছে নালিশ করেন যে,তাদের লজে এক ব্যক্তি নিজেকে রাণীবাঁধের বিডিও বলে প্রথমে পরিচয় দেয়। এবং খানিক পরে বলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি এখানে বিডিও হিসেবে যোগদান করবেন। এমন কি তাকে যে নিয়ে এসেছেন সেই পিন্টু মান্ডিও এনাকে বিডিও বলে পরিচয় দেয়। ম্যানেজারের মুখে এই কথা শুনে বিডিও ওই দুজনকে চেম্বারে ডেকে পাঠান। তখনও ওই ব্যক্তি নিজেকে বিডিও বলেই দাবী করেন।কোন ব্যাচের পাস আউট বলতে না পারায় বিডিও তাকে,চেপে ধরতেই সে যে 'ভূয়ো বিডিও' তা ধরা পড়ে যায়। এবং পিন্টু যে তাকে,বিডিও সাজিয়ে এখানে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল তা খোলসা হতেই, রানীবাঁধের বিডিও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ দু জনকে গ্রেপ্তার করে আজ খাতড়া মহকুমা আদালতে তুললে জামিন পেয়ে যান তারা। জানা গেছে, কনোজ সরকার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের বাসিন্দা এবং ওখানে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তার সাথে পিন্টুর প্রতারণা চক্রের সূত্রে কোনো যোগাযোগ গড়ে ওঠে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Next Story